বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা চলতি অর্থ বর্ষে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা আর নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই এই নিরিখে পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েতগুলির দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। তারপরেই এবার জানা যাচ্ছে,এই টাকা খরচের তালিকায় এখন আর পিছিয়ে নেই বীরভূম জেলা।
মমতার (Mamata Banerjee) নির্দেশ মিলতেই বকেয়া কাজ শেষ করতে বিরাট তোড়জোড়
চলতি মাসের শুরুতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে পিছিয়ে থাকা জেলা গুলিকে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছিলেন চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করে ফেলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ আসার পরেই জোর কদমে কাজ শুরু হয় পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে। যার ফলে এখন দেখা যাচ্ছে এই পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির তালিকায় নাম নেই বীরভূমের। নবান্ন থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই বীরভূম জেলার পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েত গুলির দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিল প্রশাসন।
দিন কয়েক আগে নলহাটি ১ ব্লকের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত বড়লা এবং বাউটিয়া পরিদর্শন করেছেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক, তাঁর সঙ্গে ছিলেন দফতরের কর্মী আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা এবং আইএসজিপি টিমের সদস্য এবং ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সচিব নির্মাণ সহায়করা।
জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুচেতনা দাস এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে তো বটেই, একই সাথে স্মার্ট পঞ্চায়েত গড়ে ওঠার পথে ও পঞ্চায়েতের অন্যান্য কাজে পিছিয়ে ছিল ওই পঞ্চায়েতগুলি তিনি জানিয়েছেন জেলা এগিয়ে থাকা পঞ্চায়েত গুলির সাথে ওই পঞ্চায়েত গুলির তফাৎ কোথায়? কোথায় সমস্যা হচ্ছে? সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই জেলায় এমন আরও ১২ থেকে ১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলিও আগামীদিনে পরিদর্শন করা হবে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্ট যাচ্ছে রাজ্য সরকার! RG Kar কাণ্ডের বিচারে ক্ষুব্ধ
২ জানুয়ারি নবান্নের সভা ঘর থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছিলেন কোনো প্রকল্প ফেলে রাখা চলবে না। যেসমস্ত প্রকল্পের কাজ চলছে তা এই অর্থ বর্ষেই সেই শেষ করতে হবে। এই কাজের নিরিখে পিছিয়ে ছিল রাজ্যের একাধিক জেলা। দার্জিলিং,দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া,উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির মতো একাধিক জেলা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মিলতেই নবান্নের তরফে পঞ্চায়েত দপ্তরের মাধ্যমে নির্মীয়মান এই প্রকল্প দ্রুত শেষ করার বিষয়ে প্রত্যেক জেলায় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। আর এই কাজ চলতি অর্থ বর্ষের মধ্যেই শেষ করতে বলা হয়েছে। এই নিরিখে বীরভূম জেলা তুলনামূলকভাবে ভালো জায়গায় রয়েছে। তবে যেখানে যেটুকু সমস্যা রয়েছে তা পূরণ করে নিতে চাইছে প্রশাসন।
সূত্রের খবর নলহাটি ব্লকের এই দুটি পঞ্চায়েত ক্রম অনুসারে বেশ কিছুটা নিচের দিকেই রয়েছে। শুধুমাত্র পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের ক্ষেত্রেই নয় এই দুটি পঞ্চায়েত নিজস্ব আয় বাড়ানো,পঞ্চায়েতের নিয়মমাফিক বৈঠক আয়োজন করা, সম্পত্তিকর আপলোড করা,বিভিন্ন শংসাপত্র অনলাইনে দেওয়া সহ ওর অন্যান্য কাজ ও স্মার্ট পঞ্চায়েত গড়ে ওঠার পথেও একপ্রকার পিছিয়ে রয়েছে। এই কারণেই প্রত্যেকটি খাতে ধরে ধরে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের পিছিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বড়লা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সালমা বিবি। বাউটিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও জানিয়েছেন টেন্ডার ডেকে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।