বাংলা হান্ট ডেস্ক এদিন মমতা বলেন,”ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্টের প্রথম অংশের রিপোর্ট পেয়েছি আজ। আমি নীতিগতভাবে বলছি, ওনারা যে সুপারিশ করেছেন, আমরা মেনে নেব। আমি অর্থনীতিটা কম বুঝি। ডিএ প্লাস বেতন কমিশন, আগে ১০০ টাকা বেসিক পে ছিল, ডিএ যুক্ত হলে আপনি পেলেন ১২৫। এরপর ডিএ ও পে কমিশন মার্জার হলে তখন এটা হবে ২৫৭। অর্থাত্ ১২৫ থেকে ২৫৭-য় দাঁড়াবে। ওনারা যেটা করেছেন, নূন্যতম বেসিক পে ৭০০০টাকা ছিল, সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭,৯৯০। এছাড়াও এইচআরও, হাউস রেন্ট এসব আমার উপরে ছেড়ে দিন। পে কমিশন চলবে। আমি কমাবো না। সুপারিশ মানতে গেলে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হবে।”
পে কমিশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,
আজই তিনি পে কমিশনের প্রথম রিপোর্ট পেলেন। তিনি আজই ঘোষণা করতে পারতেন কিন্তু আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
(Band pay and grade pay have been abolished and a new pay matrix has been introduced)রিপোর্টে যা recommend করা থাকবে তা মেনে নেওয়া হবে বলে জানাান মুখ্যমন্ত্রী।
কিছুদিন ধরেই প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে বকেয়া ডিএ না-মিটিয়ে রাজ্য সরকার কমিশন গঠন করায় কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে৷ সরকারি কর্মীরা এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলেই বিরোধী কর্মচারী সংগঠনগুলির বক্তব্য৷
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কমিটি সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখার এবং মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ায় সব স্তরের কর্মীর মূল বেতন ২.৫৭ গুণ বেড়েছে। ন্যূনতম মূল বেতন ৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। মূল পেনশন বেড়েছে ২.৫৭ গুণ। পুরনো মূল বেতন ও ১২৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা মিলে তৈরি হয়েছে নতুন মূল বেতন। ফলে মোট বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশের কাছাকাছি। উপকৃত হয়েছেন ১ কোটি কর্মী ও পেনশনভোগী।