বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হতে চলেছে। আর ওই দিনে রাজ্যের সবথেকে হাইভোল্টেজ আসন নন্দীগ্রামে নির্বাচন হবে। নন্দীগ্রামে একদিকে যেমন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে লড়ছেন। তেমনই আরেকদিকে ওই আসন থেকেই প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে আসন এবার সম্মানের লড়াই হতে চলেছে। দুই দলই ওই আসনে জয়ের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে।
আর এরমধ্যে নন্দীগ্রাম থেকে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর খবর। দৈনিক সংবাদমাধ্যম Calcutta News-এর কাছে একটি অডিও রেকর্ডিং এসেছে, যেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতার কাছে ফোন করে বলছেন আমাকে একটি সাহায্য করে দিন। এই অডিও ক্লিপ সামনে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, তমলুক জেলার বিজেপি সহসভাপতি প্রলয় পালকে সকাল ৯ঃ২৭ নাগাদ ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ফোনে তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপি নেতার কাছে ওনাকে নন্দীগ্রামে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তৃণমূল সুপ্রিমো বিজেপি নেতাকে বলেন আমার হয়ে কাজ করুন। বলে রাখি বিজেপির নেতা প্রলয় পাল রেয়াপাড়ার বুথ লেভেলের দাপুটে নেতা বলেই পরিচিত।
প্রবীর পাল বহুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেই নেতাকেই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে বলেছেন, আমাকে সাহায্য কর। এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও বিজেপির নেতা প্রলয় পাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহায্য করতে পারবেন না।
এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, নন্দীগ্রামে নিজের ভীত নড়বরে দেখেই কি বিজেপি নেতাকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরেকদিকে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী অভিযোগ করে বলেছেন যে শুধু প্রলয় পালই নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরকম একাধিক বিজেপি নেতার কাছে ফোন করে নন্দীগ্রামে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।