বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের আবহেই শিরোনামে উঠে এসেছিল হেমা কমিটির রিপোর্ট। সেখানে মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল। তখনই সমাজমাধ্যমে ফুঁসে ওঠেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকও হয় তাঁর।
মমতার (Mamata Banerjee) ভূয়সী তারিফ ঋতাভরীর
সেই সময় সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন টলিপাড়ায় এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হেমা কমিটির ধাঁচে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও এমন কমিটি গঠন করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। নিজের এই পোস্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করেছিলেন ঋতাভরী (Ritabhari Chakraborty)। সেই পোস্ট নজর এড়ায়নি মুখ্যমন্ত্রীর। নিজে থেকেই অভিনেত্রীকে ফোন করেন তিনি।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে ঋতাভরী এই নিয়ে মুখ খোলেন। সেখানে মমতাকে (Mamata Banerjee) প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘ওনাকে আমি ট্যাগ করেছিলাম। ভেবেছিলাম, কোনও পদক্ষেপ নিলে হয়তো ওই লোকগুলোর সাজা হবে। সৌভাগ্যবশত দু’দিনের মধ্যেই দিদি নিজে ফোন করেন’।
আরও পড়ুনঃ রবিবার বিকেলেই ঘুরে যাবে ‘খেলা’? এবার এনার সঙ্গে ‘গোপন বৈঠকে’ ইচ্ছুক অনুব্রত! কে সেই ব্যক্তি?
ঋতাভরীর কথায়, ‘উনি জানান, আমার স্ট্যাটাস দেখেছেন। উনি পাশে থাকতে চান। বহু মানুষ কমেন্টে লিখেছিলেন, উনি পাত্তাও দেবেন না। তুমি ভুল মানুষকে বলছ। জবাবও দেবেন না। সেই সব মানুষকে ভুল প্রমাণ করে উনি নিজেই আমায় ফোন করেছিলাম। কোনও সেক্রেটারিকে দিয়ে ফোনটা করাননি’।
অভিনেত্রী জানান, তাঁকে ফোন করে মমতা প্রথমেই জানতে চান, সব ঠিক আছে কিনা। এরপরেই জানান, তিনি ঋতাভরীর স্ট্যাটাস পড়েছেন এবং ইতিমধ্যেই হেমা কমিটির রিপোর্ট সঠিকভাবে পর্যালোচনা করার জন্য ৫ জন মন্ত্রীকে লাগিয়েছেন। এর ধাঁচে কীভাবে বাংলায় কমিটি বানানো যায়, সেটা দেখার কথা বলেন। ঋতাভরী সামনাসামনি কথা বললে সেভাবে এগোনো যায় বলেও নাকি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা (Mamata Banerjee) যখন ফোন করেন তখন বাংলায় ছিলেন না অভিনেত্রী। এক মালয়ালি ছবির শ্যুটিংয়ের কাজে বাইরে ছিলেন। এরপর রাজ্যে ফিরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। নবান্নে বৈঠক হয় দু’জনের। ঋতাভরী জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা দেখে নাকি তাঁর মালয়ালি ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে নাকি বলা হয়, হেমা কমিটি তৈরির সময় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সেভাবে ইন্ডাস্ট্রির মেয়েদের পাশে ছিলেন না।