বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগদান। রাজ্যের শাসক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েও জয়ের মুখ দেখেননি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। তবে ভোটে হেরে অন্য তারকাদের মতো পালিয়েও যাননি। দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে দিব্যি রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। আর তাতেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে যোগদানের হিড়িক উঠেছিল তারকাদের মধ্যে। কেউ তৃণমূল, কেউ বিজেপিতে গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন। তালিকায় ছিলেন সায়ন্তিকাও। সবুজ শিবিরের ঝান্ডা হাতে বাঁকুড়ায় ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীর মতোই জিততে পারেননি তিনি।
কিন্তু হেরে গিয়েই অনেকে দলের উপরে দোষ চাপিয়ে চুপচাপ সরে গিয়েছেন রাজনীতি থেকে। এখানেই ব্যতিক্রম সায়ন্তিকা। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক হয়ে রাজনৈতিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। জিততে পারেননি ঠিকই। কিন্তু বাঁকুড়ার মানুষদের মনে রেখেছেন সায়ন্তিকা। প্রায়ই সেখানে গিয়ে পৌঁছান তিনি। বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন।
এবার বাঁকুড়ার কর্মিসভা থেকে সায়ন্তিকাকে প্রশংসায় ভরালেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, মেয়েটি হেরে গিয়েও কত সুন্দর কাজ করছে। সায়ন্তিকাকে দেখে শেখা উচিত। ওঁর মতো হতে হবে সবাইকে। তৃণমূলের দলীয় সদস্যদের একসঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
টলিউডে তেমন কাজ না পেলেও রাজনীতিতে জায়গাটা বেশ পাকাপোক্তই করে নিয়েছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ঘটা করে প্রচার, মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়া সবই করেছিলেন। কিন্তু শেষমেষ বিজেপির কাছে হেরে যান। তাতে অবশ্য দুঃখ পেতে হয়নি সায়ন্তিকাকে। কারণ তার পরপরই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদ দেওয়া হয় তাঁকে।
বাঁকুড়া থেকে ভোটে লড়েছিলেন সায়ন্তিকা। জিতে এলে অনেক প্রতিশ্রুতিও পালনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু জয়ের মুখ আর দেখতে পারেননি সায়ন্তিকা। তবে বাঁকুড়াবাসী ভালবাসাও পাঠিয়েছে তাঁর জন্য। পরবর্তীকালে বন্যার সময়ে ফের বাঁকুড়া এসেছিলেন সায়ন্তিকা।