বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তা সত্ত্বেও এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। মিমি পরিবর্তে টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) ওপর আস্থা রেখেছে জোড়াফুল শিবির। মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ থেকে শুরু করে জনসংযোগ, সবেতেই দাপুটে হিসেবে পরিচিত এই যুব নেত্রীর কাঁধেই এবার যাদবপুরে জোড়াফুল ফোটানোর দায়িত্ব তুলে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল।
আগামী ১ জুন নির্বাচন রয়েছে যাদবপুরে (Jadavpur)। তার আগে সোমবার বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সায়নীর জন্য সভা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল দু’টি সভা ছিল মমতার। প্রথমটি সোনারপুর স্পোর্টিং ইউনিয়নের খেলার মাঠে এবং দ্বিতীয়টি যাদবপুর অঞ্চলের বারোভূতের মাঠে। সেখানে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের বিদায়ী সাংসদ মিমির (Mimi Chakraborty) তারিফ করার পাশাপাশি সায়নীকে টিকিট দেওয়ার ‘আসল কারণ’ ফাঁস করেন তিনি।
বারোভূতের মাঠে আয়োজিত সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘মিমি ভীষণ ভালো মেয়ে। একজন ভালো অভিনেত্রী। তবে ও অভিনয় নিয়ে খুব ব্যস্ত। আমি তো কাউকে তাঁর পেশা থেকে সরে এসে কাজ করার জন্য বলতে পারি না। তাও ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, যদি অন্য কোনও আসন থেকে প্রার্থী করা হয় তাহলে ও রাজি কিনা’।
আরও পড়ুনঃ ৫০% অতীত, এবার ৫৪% হারে DA পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা? কবে থেকে মিলবে? নয়া আপডেট!
এরপর সায়নীকে টিকিট দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মমতা বলেন, ‘নরম কাউকে দিয়ে এখানে হবে না। এখানে খুব শক্ত কাউকে প্রয়োজন । কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারে এমন কাউকে এখানে লাগবে। মানুষের জন্য ঝগড়া করতে হবে। মানুষের দাবি আদায় করে নিতে হবে’।
উল্লেখ্য, রাজনীতির আঙিনায় খুব বেশিদিন হয়নি সায়নীর। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের দক্ষতার জোরে আলাদা করে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন। মাঝেমধ্যেই যুক্তির মাধ্যমে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ শানাতে দেখা যায় তাঁকে। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা পর কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন তিনি। এতদিন ধরে লাগাতার প্রচার করেছেন। সায়নীর হাত ধরে ফের একবার যাদবপুরে জোড়াফুল ফুটবে বলে আশাবাদী তৃণমূল শিবির।