বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২৭ মার্চ বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠেছিল রাজনৈতিক সংঘাতের খবর। তবে সে সবের পাশাপাশি সেদিন অন্যতম আরও একটি চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রলয় পালের কথোপকথন। যা নিয়ে শুরু হয়েছিল জোর রাজনৈতিক তরজা। ভাইরাল সেই অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসতেই হৈচৈ পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে।
সেদিনের ওই অডিও ক্লিপ তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা প্রলয় পাল (Pralay Pal) নিজেই প্রকাশ্যে এনেছিলেন। যা নিয়ে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক ভাবে ফায়দা তুলতে চাইলেও, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেই অডিওর সত্যতা স্বীকার করে জানানো হয়, দলের পুরোনো কর্মীকে ফিরে আসার কথা বলতেই পারেন নেত্রী, এনিয়ে জলঘোলা করার কিছু নেই। তবে ওই অডিও রেকর্ডে শোনা যায় যে, প্রলয় পালকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন নির্বাচনে সাহায্য করার কথা। তবে তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে প্রলয় পাল জানিয়েছিলেন, তিনি যে দলে আছেন , সেই দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না।
এনিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের তরফে বিবৃতি দেওয়া হলেও, এমনকি রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়লেও নেত্রী নিজে মুখ খোলেন নি। তবে নিজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (Nandigram) শেষ লগ্নের প্রচারে এবার সেই ফোন করার কারণ নিজেই খোলসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন দ্বিতীয় দফা ভোটের শেষ জনসভা টেঙ্গুয়া মোড় থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ আমি শুনেছিলাম আমার সঙ্গে অনেকেই কথা বলতে চাইছেন, তিনি আমি ছেলেটিকে ফোন করেছিলাম। আর কি খারাপ বলেছি। আমি প্রার্থী হিসাবে সবার কাছে ফোন করে ভোট চাইতেই পারি, এতে এত বিতর্কের কি আছে ?’
উল্লেখ্য, শনিবার মমতা ও বিজেপি (BJP) নেতার কথোপকথনের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়তেই বিজেপি যখন তার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেষ্টা চালাচ্ছে, তখনই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ আরেকটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। যেখানে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়কে (Mukul Roy) কমিশনে (Election Commission) এজেন্ট বসানোর নিয়মাবলী বদলের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। সবমিলিয়ে শনিবার প্রথম দফায় নির্বাচন শেষে অন্যতম চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তৃণমুল ও বিজেপির এই দুটি অডিও ক্লিপ (Viral Audio Clip) ।