বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে সাধারণ জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার পথেই হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার মত অনুসারে বর্ধিত পার্কিং ফি প্রত্যাহার করল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)। এপ্রিলের শুরু থেকেই বর্ধিত হারে পার্কিং ফি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল জনগনের ওপর। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। ফলে আরম্ভ হয়েছিল বিতর্ক। তবে আজ সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে যারা বিরোধিতা করছিলেন তাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হয়েছে।
জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এখন থেকে আবার আগে যে হারে পার্কিং ফি নেওয়া হতো, সেই হারেই ফি নেওয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে গোলমালের প্রথম আভাস পাওয়া গিয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে। ৭ই এপ্রিল তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে পুরসভা পার্কিং ফি বৃদ্ধি ব্যপারে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন না নিয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্রর এখানে মন্তব্য দলের কারোর বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কিনা সেই নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল।
অনেকেই দাবি করেছিলেন সাম্প্রতিক নানা গন্ডগোল ও বিরোধীদের সঙ্গে নানা বিতর্ক নিয়ে তার যে ভাবমূর্তি ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেটা বুঝতে পেরেছেন কুণাল। তাই জনগণের সুবিধার্থে তিনি এই বিশেষ ইস্যুটিকে বেছে নিয়েছেন। তবে কুণাল ঘোষ এমন কোনও প্রসঙ্গে না গিয়ে এই সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি বলেন যে পার্কিং ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সাথে মুখ্যমন্ত্রী সহমত নন। তার মতে মমতা ব্যানার্জি চান না যে মানুষের উপর বোঝা বাড়ুর।
এরপরই তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন যে খুব শীঘ্রই কলকাতার মহানাগরিককে পার্কিং ফি প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রাতের মধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। তার কথামতো শুক্রবার রাতেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল এবং জনগণ এই বিষয়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তি পেলেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত আসার আগে কুনালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান যে সংবাদমাধ্যমের সামনে এই বিষয়ে মন্তব্য করে অনৈতিক কাজ করেছেন কুণাল। যদিও বিরোধীরা এই সমস্ত বিষয়ের মধ্যে অন্য সমীকরণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। অনেকেরই দাবি খুব শীঘ্রই ববি হাকিমের ডানা ছাটা হবে। পার্কিং সেই প্রত্যাহারের নির্দেশ তারই একটা ইঙ্গিত।