বাঙালির সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য বিশ্ববন্দিত। একুশের বিধানসভা ভোটে সেই সংস্কৃতিই এখন হাতিয়ার যুযুধান দুপক্ষের। বোলপুরে (bolpur) অমিত শাহের (amit shah) রোড শো এর পালটা পদযাত্রায় হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) .
সংস্কৃতি নিয়ে বাঙালি বরাবরই আবেগপ্রবণ। রবীন্দ্রনাথ থেকে বিবেকানন্দ, বাঙালি মহাপুরুষদের হাতিয়ার করেই বাংলার মাটিতে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া বিজেপি। সেই প্রচারে যখনই ফাঁক ফোঁকর ধরা পড়ছে তাকে হাতিয়ার করে পালটা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসও।
রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত বোলপুরে এসে রোড শো করেছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার পদযাত্রায় হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই পদযাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে চোখে পড়ে সংস্কৃতির জগতের মানুষের। মিছিলের প্রথম সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ শতাব্দী রায়।
বোলপুরের লজ মোড় থেকে শুরু হয়ে ৪ কিলোমিটার এই পদযাত্রা শেষ হয়েছে জামবুনি মোড়ে। পুরো পথই ঢাকা ছিল বিশ্বকবির কাট আউটে। মিছিলে ছিলেন বাউল, কীর্তনীয়া ও ঢাকিরা। ঘোড়া নাচ, সাঁওতাল নাচে রোড শো হয়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের মঞ্চ। বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ উলু এবং শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বরন করে নেওয়া হয়।
পুরো মিছিলেই নিজস্ব ভঙ্গিতেই পাওয়া গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মিছিলে দু লাখের মতো মানুষ যোগ দিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। এই পরিসংখ্যান সঠিক হোক বা না হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার প্রমাণ করলেন রাজপথের রাজনীতিতে তার সমকক্ষ কেউ নেই। পাশাপাশি, নির্বাচন যত এগোবে ততই সংস্কৃতি হবে বাংলার রাজনীতির হাতিয়ার। তাও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্টই।