বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদা ‘বাম গড়’ হিসেবে পরিচিত যাদবপুরে গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে জোড়াফুলের দাপট। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হয়েছিলেন টলি সুন্দরী মিমি চক্রবর্তী। এবার যদিও তাঁকে টিকিট দেয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। মিমির পরিবর্তে টলিপাড়ার আর এক অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল।
এদিন বৃষ্টিবাদলের মধ্যেই সায়নীর সমর্থনে হরিনাভিতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় প্রার্থী পরিচয় করাতে দেখা যায় তাঁকে। সায়নীকে কাছে ডেকে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো বলেন, ‘আমার প্রার্থী সায়নী। সায়নীকে এই কারণে দিয়েছিল কারণ আগের বার আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি’।
হরিনাভির নির্বাচনী প্রচারসভায় মিমির (Mimi Chakraborty) নাম না নিলেও মমতা যে তাঁর কথাই বলছেন তা বুঝতে কারোর অসুবিধা হয়নি। কারণ ২০১৯ লোকসভা ভোটে যাদবপুর (Jadavpur) থেকে জয়ী হয়ে সংসদে গেলেও মিমিকে এলাকায় না পাওয়া নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। এবার তাঁকে টিকিটও দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বরং দলের দাপুটে নেত্রী সায়নীর ওপর আস্থা রেখেছে জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুনঃ ভোটপ্রচারে জোর ধাক্কা! রেমালের দাপটে বাতিল শুভেন্দুর সভা, মমতা-অভিষেক কী করবেন?
টলিউডের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও যথেষ্ট সক্রিয় সায়নী। তাঁর রাজনৈতিক দক্ষতা নজর এরায়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। সেই কারণে তাঁকে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদেও আসীন করা হয়েছে। এবার এই অভিনেত্রীর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে যাদবপুরে ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব।
এদিন হরিনাভির সভা থেকে মমতা কার্যত স্বীকার করে নেন মিমি সাংসদ থাকাকালীন যাদবপুরবাসী তেমন পরিষেবা পাননি। যদিও এর জন্য অভিনেত্রীকে দোষারোপ করেননি তৃণমূল নেত্রী। রিনি বলেন, ‘তাঁর অবশ্য কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের সিনেমার দুনিয়ায় ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সেই কারণে আমরা সেই দোষ শুধরে নিয়েছি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবেন। দাঁতে দাঁত চেপে উন্নয়নের কাজ করবেন’।