বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গণনার শুরু থেকেই গোটা বাংলায় তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও, নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) পেছনে ফেলে এগিয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে একদিকে যখন বিজেপির সব উইকেট পড়তে শুরু করেছে, তখন ১৬ রাউন্ডের গণনার শেষে সামান্য কিছু ভোটে এগিয়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো।
এরপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ঘোষিত হয়ে যায় নন্দীগ্রামে ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু সন্ধ্যে গড়াতেই শোনা যায় উল্টো সুর, মমতা নয়, নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছে শুভেন্দু। এমনকি তৃণমূলের ওয়েবসাইট থেকেও জানানো হয়, ‘এখনও গণনা সম্পন্ন হয়নি নন্দীগ্রামের। রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে’। তবে শেষ নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করে।
বাংলাতে তৃণমূল সরকার আবারও ক্ষমতায় আসার রায় নির্ধারণ হয়ে গেলেও, নন্দীগ্রামের ফলের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বাংলা। কিন্তু এই ধোঁয়াশার মাঝেই নন্দীগ্রামে নিজের হার স্বীকার করে নিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রবিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, ‘নন্দীগ্রামের জন্য একটা আন্দোলন চালিয়েছিলাম আমি। নন্দীগ্রামের রায় স্বীকার করে নিয়েছি। চিন্তা করবেন না, লড়াইয়ে কিছু উৎসর্গ করতে হয়। একটা ম্যাচ ছিল মাত্র এটা’।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর কোন কনফিউশন থাকল না, ভালোই হল। মানুষ যা করেছেন, বলব তা ভালোর জন্যই করেছেন। সেলাম জানাই তাদের। এই জয়ের পিছনে নিশ্চয়ই কিছু কারচুপি করা হয়েছে, আমি কোর্টে গিয়ে এর পেছনের আসল কারণ খুঁজে বের করব’।