বাংলা হান্ট ডেস্ক : অ্যাডেনোভাইরাস নিয়ে বিপাকে সরকার। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অন্য সাফাই দিলেন। তিনি বললেন তাঁর পরিবারেও একজন অ্যাডেনোভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত। বিধানসভায় এ কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁর পরিবারের কোন সদস্য ভাইরাস আক্রান্ত তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
মমতা এদিন বলেন, ‘রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ জন শিশুর। বাকি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কোমর্বিডিটির কারণে।’ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেন, সব মৃত্যুর কারণই যে অ্যাডেনোভাইরাস তা নয়। তাই অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর কোনও দরকার নেই।
রাজ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষত ছোট বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত। গত কয়েকদিনে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতাল থেকে একের পর এক শিশু মৃত্যুর খবর এসেছে। গত দু’দিনে বিসি রায় হাসপাতালে অন্তত সাত জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ার উপসর্গ নিয়ে। একজনের মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা ছিল অ্যাডেনোভাইরাস(Adenovirus)।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ভাইরাস এখনও এপিডেমিক হয়নি। ভয় পাওয়ার কারণ নেই। অযথা আতঙ্ক বাড়াবেন না।’ এদিন মমতা বলেন, ‘আমার পরিবারের এক জন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত। আমি এ সব বলে বেড়াই না।’ সেই সঙ্গেই তিনি আরও বলেন, তাঁর ভাই ও অফিসের বিশ্বস্ত এক কর্মীরও মৃত্যু হয়েছি করোনাভাইরাসে। তাই আপনজনদের হারানোর যন্ত্রণা তিনি বোঝেন।
মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাচ্চাদের তিনি ভালবাসেন। তাই আর যাতে কারও অসুখ না হয় সে জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট কাজ করছে। মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল-সহ প্রতিটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ অর্থাৎ এআরআই চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, এআরআই চিকিৎসার জন্য রাজ্যের ১২১টি হাসপাতালে পাঁচ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।