বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এখন কার্যত সকলের চোখে আটকে রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের দিকে। কারণ এই দিনই উপনির্বাচন রয়েছে বাংলায়। এমনিতে হয়ত কোন উপনির্বাচন এতোখানি গুরুত্ব পায়না, কিন্তু একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যাবার ফলে এই মুহূর্তে ভবানীপুর উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি। সেই কারণে স্বাভাবিকভাবেই আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এই কেন্দ্রটির। মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরতে হলে এই উপনির্বাচনে জিতে আসতেই হবে মমতাকে।
ইতিমধ্যেই তাই জোর কদমে প্রচারও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ভবানীপুর কার্যত ২০১১ সাল থেকেই তৃণমূলের গড়। এখানে এর আগেও দু’বার জিতেছেন মমতা। প্রচারে এসে ফের একবার নিজস্ব ঢঙে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমি বিজেপির নীতি আর রাজনীতি, কোনওটাই পছন্দ করি না ৷ ওরা শুধু ধর্ম অনুযায়ী মানুষের মধ্যে বৈষম্য তৈরির রাজনীতি অনুসরণ করে ৷ ওরা বলেছিল নন্দীগ্রামও পাকিস্তান হয়ে যাবে (যদি তৃণমূল কংগ্রেস জেতে) ৷ ভবানীপুরের ক্ষেত্রেও একই কথা বলছে ৷ এটা খুব ধিক্কারজনক ৷”
তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই প্রচারপর্বে মসজিদ এবং গুরুদ্বারেও যান তিনি। কার্যত ভবানীপুর কেন্দ্রে একদিকে যেমন রয়েছেন প্রচুর বাংলাভাষী মানুষ, তেমনই আবার রয়েছেন শিখ এবং হিন্দিভাষী মানুষরাও। একইসঙ্গে এই অঞ্চলে রয়েছেন বেশ কিছু বড় বড় ব্যবসায়ীও। যার জেরে প্রচারে ডিমানিটাইজেশন থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রীর সদ্য আনা মনিটাইজেশন পাইপ লাইন নিয়েও আক্রমণ করতে দেখা যায় মমতাকে। তার প্রশ্ন “আপনারা কি দেশের মাটি বেচে দেবেন?”
একইসঙ্গে প্রচারে তালিবান এবং পাকিস্তান প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “আমি চাই আমার দেশ আরও শক্তিশালী হোক ৷ আমার সর্বশক্তি দিয়ে আমি আমার জন্মভূমিকে রক্ষা করব ৷ ভারতকে অন্য একটা তালিবান শাসিত রাষ্ট্র, পাকিস্তানে পরিণত হতে দেব না ৷”