বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো (Durga Puja) আসন্ন; প্রতিবছরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ এই উৎসবকে ঘিরে উন্মাদনায় মাতে মানুষ। দেড় মাসের কাছাকাছি সময় বাকি পুজোর আর এর মাঝেই এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বাংলার সকল পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে আলোচনার স্বার্থে বৈঠকের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। আর সেখান থেকে সকল পুজো কমিটিগুলোর উদ্দেশ্যে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাংলায় মোট ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ দিলেও ৬০ শতাংশ ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে একাধিক বিধি নিষেধের সঙ্গেই আয়োজিত হয় দুর্গাপুজো। এ বছর অবশ্য করোনার প্রকোপ কমায় ধুমধাম করেই আয়োজন করা হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। তার মাঝেই এদিন রাজ্যের সকল পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই, সরকারের প্রদান করা অনুদানের অঙ্কের দিকে নজর ছিল গোটা বাংলার। গত দুই বছরে প্রতিটি পুজো কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলো তৃণমূল সরকার। এ বছর সেই অর্থের পরিমাণ বাড়ানো হবে নাকি কাটছাঁট করা হবে, সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল সকলে।
এদিন বৈঠকের পর অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “বাংলার ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হতে চলেছে। একই সঙ্গে আমরা ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের উদ্দেশ্যে পুজো কমিটির বিদ্যুৎ বিলে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।” সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন আর সেই কারণেই অনুদানের অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এদিন বৈঠক চলাকালীন বিজেপিকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেকে অনেক সময় বড় বড় কথা বলে। কলকাতায় নাকি সরস্বতী পুজো কিংবা দুর্গাপুজো কিছুই হয় না। আমি বলতে চাই, বাংলার মতো পুজো আর অন্য কোথাও হয় না। দুর্গাপুজোকে মাথায় রেখে এক বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবী থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক পরিকল্পনা স্থির করা হয়। কে ফল কাটবে কিংবা কি থিম হবে, কোন ক্লাব কাকে দিয়ে পুজো করাতে চলেছে, সব বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা চলে।”
উল্লেখ্য, অতীতে দুর্গাপুজো এবং সরস্বতী পুজো নিয়ে তৃণমূল সরকারের ‘রাজনীতি’-কে কাঠগড়ায় তোলে বিজেপি। এদিন তাদের সেই অভিযোগকে একপ্রকার উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাজ্যে মোট ৪৩ হাজার পুজো কমিটি রয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলার একাধিক পুজো, এছাড়াও বাড়ির পুজো, পল্লীর পুজো রয়েছে। আমাদের পুলিশ যেভাবে মহিলাদের পুজো এবং ছোট ক্লাবগুলিকে সহায়তা করে থাকে, তার জন্য ওদের ধন্যবাদ জানাই। আমি আবার বলব, আমাদের বাংলায় যেরকম ভাবে পূজো হয়, তা অন্য কোথাও হয় না।”