বায়রনের ঘটনা খুবই সামান্য, প্রভাবই ফেলবে না কংগ্রেসের সাথে বিরোধী ঐক্যে! মত মমতার

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস গতকাল কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেন তৃণমূলে। এই ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস। টুইটে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, “তৃণমূল লোভ দেখিয়ে নিয়ে গেছে বায়রনকে। বিরোধী ঐক্য মজবুত হবে না এতে, উল্টে অক্সিজেন পাবে বিজেপি।”

যদিও রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতার বক্তব্যের সাথে সহমত নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,”আমরা সবাই একসঙ্গে রয়েছি জাতীয় স্তরে। তবে ওদের এটা বুঝতে হবে যে রাজ্য পার্টি হিসেবে তৃণমূলের কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে।”

উল্লেখ্য আগামী ১২ ই জুন নীতিশ কুমার পাটনায় বৈঠকে ডেকেছেন বিরোধী দলগুলিকে। বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আজ মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন রাজ্যের রাজনীতিতে সমীকরণ ভিন্ন। ক্ষুদ্র ব্যাপার এটা।

রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এখানে বিরোধী দল হল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা করছেন রাজ্যের শাসকদলের। কিন্তু জাতীয় স্তরে রাজনীতির ক্ষেত্রটা অন্য। জাতীয় স্তরে বিরোধী দল গুলির একত্রিকরনের সমীকরণ আলাদা। রাজ্যের বিষয় থেকে আলাদা করেই ওই ব্যাপারটা দেখতে হবে।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী কোনও রকম নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাননি জয়রামের ব্যাপারে। উল্টে তিনি বলেছেন, “বলার স্বাধীনতা রয়েছে ওদের। মনে যা হয় বলুন, কিছু বলবো না আমি।” পাশাপাশি এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আগামী ১২ ই জুন তিনি পাটনায় যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এর আগে দিল্লিতে এই ধরনের অনেক বৈঠক হয়েছে।

কিন্তু কোনও ফল হয়নি। জয়প্রকাশ নারায়ণ একটা সময় আন্দোলন শুরু করেছিলেন পাটনা থেকে। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে বলেছিলেন যে পাটুলিপুত্রে বৈঠক ডাকা হোক। আগামী ১২ই জুনের বৈঠককে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখছেন তা তার এদিনের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর

X