বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘাসফুল শিবিরের গা থেকে জাতীয় দলের তকমা উঠে যেতেই বঙ্গ রাজনীতি সহ জাতীয় রাজনীতিতেও তোলপাড় শুরু হয়। বুধবার তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এমনকি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দল ছিল, আছে, থাকবে বলেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন বিরোধীদের উদ্দেশ্যে।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আমাদের পার্টির নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেটাই থাকবে।’ শুধু তাই নয়, এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের যোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মমতা। একই সঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আপনাদের হাতে। তাই বলে আপনারা যা খুশি করবেন?’
এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই এ ব্যাপারে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূল যদি জাতীয় দল হয় তাহলে আরশোলাকেও পাখি বলতে হবে।’ এমনকি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অনেকেই ‘এআইটিসি’ (অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস) এখন ‘এবিটিসি’ (অল বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস) হয়ে গিয়েছে বলে আক্রমণ শানান। তবে, বিজেপির এই নেতার কথাকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এদিন তৃণমূল সাংসদ, বিধায়কের সংখ্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের সাংসদ, বিধায়কের সংখ্যা কত?’ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ’৯৮ সালে তিনি যে দল তৈরি করেছিলেন ২৫ বছরে তা বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে অনেক লড়াই, আন্দোলন, রক্ত, ঘাম। দিদির কথায়, ‘কারও দয়ায় তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা পায়নি। লড়াই করে অর্জন করতে হয়েছে।’
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালেই দশ বছরের জন্য জাতীয় দলের তকমা জুটেছিল তৃণমূলের মুকুটে। তবে এ বার তকমা চলে যাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের তরফে বলা হয়, তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে দেওয়া হলেও ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। মমতা বুধবার বলেন, ‘‘বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে যা ইচ্ছা করাক। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে ইনসাফ চাইব।’’