“আমিও আইনজীবী, যেকোনো কেসে কোর্টে যেতে পারি!” নিজের অতীত টেনে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যেকোনো মামলায় তিনি কোর্টে গিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারেন। এমনকি তার বার কাউন্সিলিং এর সদস্যের কার্ডও সযত্নে রাখা আছে। পুরনো কিছু অভিজ্ঞতার কথা মনে করিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বললেন মিডিয়ার ট্রায়াল বন্ধ করুন। পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে তার বক্তব্য,”আমিও আইনজীবী। প্রয়োজনে যে কোন কেসে কোর্টে যেতে পারি।”

নব মহাকরণ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিং আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতা হাইকোর্টের হাতে তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে বললেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অনুরোধ করেছিলেন হাইকোর্ট সংলগ্ন কোন এলাকায় একটি ভবন খুঁজে দেওয়ার জন্য। অতিরিক্ত মামলার বোঝা সামলানোর জন্য এই নব মহাকরণ বিল্ডিংটি হাইকোর্টের হাতে তুলে দিয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী তার দায়িত্ব পালন করলেন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন। নব মহাকরণ ভবনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ে কাজ করতেন রাজ্যের ১৯ টি দফতরের কর্মচারীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলকাতা হাইকোর্টের অনুরোধ মাথায় রেখে মুখ্য সচিবের সাথে আলোচনার পর সেই দপ্তরের কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারকদের কাছে আবেদন করলেন যাতে আটকে থাকা মামলা গুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “বকেয়া মামলা গুলি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা হোক। কিছু কিছু মামলা ৩-৪ বছর ধরে আটকে আছে।” এছাড়াও তিনি জানান আইন জগতে আরও বেশি করে মহিলা বিচারপতির প্রয়োজন আছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার যে আগ্রহী সে বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন,” রাজ্যে ৮৮ টি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট বন্ধ ছিল। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এসে সেই কোর্ট গুলি চালু করে। যার খরচ রাজ্য সরকার নিজে চালায়।”

এরপরই তার মন্তব্য, “আমি নিজেও একজন আইনজীবী। আগেও বহুবার বিভিন্ন মানবাধিকার মামলায় লড়েছি। যে কোন প্রয়োজনে আবার কোর্টে গিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারি।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য বিচারাধীন মামলা গুলি নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করা হোক।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর