বাংলা হান্ট ডেস্ক : মহান দেশপ্রেমিক, শতকোটির বীরপুত্র, ভারতের কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা যাই বলা হোক সেটাই কম হয়ে যায় তাঁর জন্য। তিনি হলেন ভারতমাতার বীরপুত্র নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Bose)। আজ তাঁরই জন্মদিন। এইদিন নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘ওনার কথা মান্য করে চললে ভারত আরও উন্নত দেশ হতে পারত। উনি ৩টি কথা বলতেন। বিশ্বাস, ঐক্য এবং ত্যাগ। ত্যাগ এবং উপলব্ধি। ষোলো আনা পেতে হলে ষোলো আনা দিতে হবে। আমরা ১ দিন নয়, ৩৬৫ দিন ওনাকে স্মরণ করি। ওনার ত্যাগ তিতিক্ষা ও সংগ্রাম মনে রাখি।’
বক্তৃতা রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণদেব, আম্বেদকর সহ সবাইকে শ্রদ্ধা। উনি পরিকল্পনা কমিশন তৈরি করেছিলেন। দেশকে দিশা দেখাতে গিয়ে উনি কোথায় হারিয়ে গেলেন আজও জানতে পারলাম না। ওনার জন্মদিন জানি, মৃত্যুদিন জানি না। আমার সরকার আসার পর ৬৪ টি ফাইল এবং সব তথ্য পাবলিক ডোমেনে নিয়ে এসেছিলাম।’ একই সাথে কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘নেতাজি বন্দরের নাম চেঞ্জ হয়েছে। প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনও প্ল্যান নেই দেশের জন্য। প্ল্যানিং এখন কিলিংয়ে চলে গিয়েছে। ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি চলছে।’
একই সাথে নেতাজির আন্দামান শহিদ এবং স্বরাজ দ্বীপের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন তিনি। মমতা ব্যানার্জির সংযোজন, ‘দেশের নেতা তাকেই বলে যার একপাশে হিন্দু, একপাশে মুসলিম। থাকে শিখ, জৈন, বৌদ্ধ। কোথায়? আজ তোমার দেখা নেই। এই মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছা করে, তোমার মতো নেতা আর নেই। কাকে পাব, কাকে বলব মনের কথা? রবি ঠাকুরের গানের ভাষায় বলি, তুমি কি কেবলই ছবি? আমি ২০ বছর ধরে চেষ্টা করলাম। জাতীয় ছুটি করতে পারিনি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে ছুটি হয়ে যায়। মাঝে কেউ বলেছিল ছাই পাঠাব। কিন্তু ছাই দিয়ে আগুন চেপে রাখা যায় না।’
আরও পড়ুন : রামমন্দিরে ভক্তদের সুনামি! ভাঙল ব্যারিকেড, উদ্বোধনের পরদিনই বন্ধ হল রামলালার দর্শন
সেই সাথে ‘তরুণের স্বপ্ন’ বইটিকে বাধ্যতামূলক করার কথাও বলেছেন তিনি। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের স্পষ্ট বিরোধীতা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এইদিন তিনি বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামাতঙ্কে ভুগছেন। যেমন জলাতঙ্কে মানুষ ভোগেন, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল ভুগছেন। আমরা ছুটি চাইনি। রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিশেষ মুহূর্তে যাতে বাংলার সনাতনীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারেন এবং বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারেন, সেজন্য অনেকেই চেয়েছিলেন। সেই মত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা মান্যতা দেওয়া হয়নি। উনি রামাতঙ্কে ভুগছেন বলেই এমনটা করেছেন।’