বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেখান থেকেই ‘সোনার খনি’র খোঁজ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দিলেন প্রচুর কর্মসংস্থানের হদিশ। কর্মসংস্থান হোক কিংবা উন্নয়ন, এবার পাহাড় নিয়ে বিশেষভাবে ভাবতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার শিলিগুড়ির পর মঙ্গলবার কার্শিয়াংয়ে গিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই দিলেন ‘সোনার খনি’র হদিশ, বললেন কর্মসংস্থান বাড়ানোর কথাও। আর দার্জিলিংয়ে থাকা ‘সোনার খনি’ কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায়ও বাথলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কর্মসংস্থান নিয়ে কথা বললেও, নিজেদের সামনেই পড়ে থাকা কাজগুলো নিয়ে আমরা খুব একটা ওয়াকিবহাল নই। সামনে থাকা জিনিসগুলো থেকে কিভাবে কাজের খোঁজ পাওয়া যাবে, তা ভেবে দেখি না। দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের গায়ে থাকা গাছগুলোর পাতা রপ্তানি করেও তো আমরা অর্থ উপার্জন করতে পারি। এইভাবে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগও হবে’।
বিষয়টা হল, দার্জিলিংয়ের পাহাড়ের গায়ে থাকা গাছগুলোর পাতা রপ্তানি করার বিষয়টাকেই মুখ্যমন্ত্রী ‘সোনার খনি’র সঙ্গে তুলনা করেছেন। আর তা কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই পরামর্শও দিয়েছেন। সেইসঙ্গে আবার ঝরণার জল ব্যবহার করে পাহাড়ে ওয়াটার বটলিং প্ল্যান্ট তৈরি করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি পাহাড়ি ছেলেমেদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার কথা বলে, পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের উন্নতির কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার, বাংলা থেকেই ডেয়ারি, দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রির প্রসঙ্গ তুলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ি ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা শুধু বিনিয়োগ করুন, আমরা আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করব’।