বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৫ ই আগস্ট ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গোটা দেশজুড়ে। এদিন লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ ভারত গড়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন পরিবারতন্ত্র ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। আবার অপরদিকে, এদিন টুইট করে নিজের ‘স্বপ্নের ভারত’ প্রসঙ্গে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন স্বপ্নের ভারত প্রসঙ্গে পেশ কয়েকটি নয়া দিকের উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “ভারতের জন্য আমার স্বপ্ন রয়েছে। আমাদের এমন একটা দেশ গড়তে হবে, যেখানে কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। নিরাপত্তাহীনতা বোধ করবে না কোন মহিলা। শিক্ষার আলো দেখবে দেশের প্রত্যেক শিশু।
স্বাধীনতা দিবস প্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের দিকে নজর ছিল গোটা বাংলার। যেভাবে দুর্নীতি মামলায় একের পর এক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের নাম সামনে উঠে এসেছে, তারপর থেকেই অস্বস্তি ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে সরকারের। এর মাঝে এদিন স্বাধীনতার দিবসে ‘স্বপ্নের দেশ’ প্রসঙ্গে একাধিক বক্তব্য সামনে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইট করে মমতা লেখেন, “আমি এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে চাই, যেখানে সকল মানুষের প্রতি সমান ব্যবহার করা হবে। দেশবাসীর মধ্যে কোনওরকম বিভেদ করা হবে না। আসবে সম্প্রীতির দিন।”
এরপরেই গোটা দেশবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানান যে, স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাবেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন, “ভারতবাসী, দেশের জন্য আপনাদের স্বপ্ন কি?”
I have a dream for India!
For the people, I want to build a nation where no one goes hungry, where no woman feels unsafe, where every child sees the light of education, where all are treated equally, where no oppressive forces divide the people & harmony defines the day.
(1/2)— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 15, 2022
পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই টুইট প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভের পাশাপাশি আবার বাড়িতে যদি সিবিআই চলে যায়, তার ভয় আছে। ফলে একসঙ্গে এই দুটো জিনিস কখনোই ভালো নয়। যেখানে বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই, মানুষ খাবারের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হয় কাজ খুঁজতে তৎপর হয়ে উঠেছে, সেখানে উনি দিবাস্বপ্ন দেখে চলেছেন, হাস্যকর।”