বাংলাহান্ট ডেস্ক : জীবনকৃষ্ণ সাহার গ্রেফতারি নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার এই গ্রেফতারির পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন চক্রান্ত করা হচ্ছে বিধানসভায় তৃণমূলের বিধায়ক কমানোর। অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সিবিআই এর ৬৫ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার হয়েছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই গত তিন দিন ধরে এই বিধায়কের (Members of legislative assembly) বাড়িতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এরপর সিবিআই জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারির পর জীবনকৃষ্ণ সাহাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরে সিবিআই ক্যাম্পে। এরপর তাকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, সাংবাদিক বৈঠকে নবান্নে আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “৫০০ কোটি টাকার লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে, কেউ কি চোখে দেখেছে সেই টাকা? এখন পর্যন্ত কি টার্গেট করা হয়েছে কোনও বিজেপি বিধায়ককে? এক্ষেত্রে তদন্ত করতে যায়নি কোনও কেন্দ্রীয় দল। পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে তৃণমূল বিধায়কদের।” এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সিবিআই জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও দুর্নীতি কাণ্ডে টাকা নয়ছয় এর অভিযোগ এনেছে। তৃণমূল এই বিধায়ককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ঘরে। অন্যদিকে, সিবিআই উদ্ধার করতে পেরেছে পুকুরে ফেলে দেওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোনটিও। ৬৬ ঘন্টা তল্লাশীর পর পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল বিধায়কের মোবাইল ফোন।
জেরার সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজে তার দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেন পুকুরে। এই নাটকীয় ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যায় সবাই। এমন ঘটনা সুদূর অতীতেও ঘটেনি যে অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তি তদন্তকারীদের সামনেই তার মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। বর্তমানে সিবিআই অফিসারেরা জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখছেন।