বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইডির একটি টিম বুধবার সকালে হানা দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল সঞ্জয় বসুর (Sanjay Basu) আলিপুরের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার প্রায় দুপুর পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন। এরপর ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা বেরিয়ে গেলে মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) ঘটনাটিকে শুধুমাত্র ‘হিংসার রাজনীতি’ বলে উল্লেখ করেন। শুধু তাই নয়, হঠাৎ করেই সঞ্জয় বসুর বাড়িতে ইডি আধিকারিকদের হাজির হওয়ার ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মেঘালয়ের ভোট গণনার সাথে মিলিয়ে দেখতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল এবার মেঘালয়ের সবকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। প্রচারের জন্য বারবার মেঘালয় ছুটে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ঘাসফুল শিবিরের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকবে বলেও তারা আশাবাদী ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিবাচক দিক উঠে আসছিল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় পাঁচটি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, চারটি আসনে বিজেপি ও ২৫ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে NPP।
ফলাফলের দিকে চোখ রাখলে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ত্রিশঙ্কু হলেও এই বছরেও বিজেপির সাথে জোট গঠন করে সরকার গড়তে পারবে NPP। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকে ইঙ্গিতের সুরে বলেন, মেঘালয়ের ফল দেখে সঞ্জয় বসুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ইডি। তিনি বলেছেন, “ওরা সঞ্জয়ের বাড়িতে ঢুকে ছিল গতকাল। আজ মেঘালয়ের ফল প্রকাশের দিন বেরিয়ে গিয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল সঞ্জয় বসু। স্বাভাবিকভাবেই ওর কাছে সরকারের অনেক কাগজ থাকে। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন, “ওকে আমি জিজ্ঞাসা করেছি এত তল্লাশি করে কি পেল? বলেছে কিচ্ছু পায়নি। খালি জিজ্ঞাসা করছিল আপনাদের ব্যাপারে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায় সঞ্জয় বসুর বাড়িতে ইডির হানা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল। বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে ভয় দেখাতে চাইছে সবাইকে। তাদের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত নয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানও।