বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিএ (Dearness Allowance) ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা জানানো হলেও সেই খবরের একেবারেই মুখে হাসি ফোটেনি সরকারি কর্মচারীদের। কেন্দ্রীয় সরকারের সমান হারে তাদেরকে ডিএ দিতে হবে এমনটাই দাবি তুলে রীতিমতো বিক্ষোভ থেকে শুরু করে অনশন সবটাই চলছে। শুধু তাই নয়, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজেদের ক্ষোভের কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ আবার রাজপথে নেমেছেন সরকারী কর্মচারীরা। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মিছিলের সাথে সাথেই বিধানসভা অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এবার এসবের মধ্যেই ডিএ নিয়ে অসন্তোষের বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই, যে টাকা দাও বললেই গুপী গাইন-বাঘা বাইনের মতো মিষ্টি-টাকা চলে আসবে। টাকা জোগাড় করতে হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা তিন শতাংশ ডিএ দিয়েছি।’
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ‘ম্যাজিশিয়ান নই’ মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে বড় ম্যাজিশিয়ান। কারণ, কোন খাতের টাকা তিনি কোথায় খরচ করছেন, সেটা ম্যাজিশিয়ানের মতোই করছেন।’ পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের তরফে আটকানো টাকার হিসেব দেখাতে পারলে তাঁরা দিল্লিতে গিয়েও আন্দোলন করবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহার্ঘভাতার দাবিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা আন্দোলনের আঁচছড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। এদিন দুপুর দুটো থেকে তিন ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন একযোগে যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী, আলিয়া ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ । আগামী ২০ ও ২১ তারিখ বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা ‘পেন ডাউন’ বা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই জটিল পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।