বাংলাহান্ট ডেস্ক : অপেক্ষা আর মাত্র কিছু মাসের। তারপরই আসছে লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। ২০২৪ সালে আসন্ন পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বড়সড় ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিলেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস বিরোধী জোটে অংশ নেবে না তৃণমূল (All India Trinamool Congress)। মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বৃহস্পতিবার বলেন, জোট হবে তৃণমূল আর মানুষের মধ্যে। আমরা ওদের কারোর সাথে যাব না। মানুষের সমর্থন নিয়ে আমরা এক লড়াই করব।
কেন্দ্রের (Central Government) বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অতীতের বহুবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী জোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। পশ্চিমবঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠানোর জন্য নতুন ভাবে কোমর বেঁধে নামে তৃণমূল। দিল্লিতে গিয়ে বহুবার বৈঠক করেন বিজেপি বিরোধী দলের নেতাদের সাথে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সাথেও।
কিন্তু তারপর সময়ের সাথে বেড়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দূরত্ব। গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেস ও তৃণমূল সংঘাতে জড়িয়েছে একে অপরের সাথে। সম্প্রতি মেঘালয় রাহুল গান্ধী নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের ইতিহাস সম্পর্কে কথা বলে খোঁচাও দেন। এর ফলে দুই শিবির এর মধ্যে আরো জোরালো হয়েছে ফাটল। এর ফলে বিরোধী শিবির নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
গত বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। তখন বিরোধীদল গুলির একাংশ মমতার ডাকে সাড়া দেওয়া ঠিক হবে কিনা সেই নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও পাওয়ার পরে সেই জায়গা থেকে সরে আসেন। এরপর তৃণমূল রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায়।
এরপর উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরেও তৃণমূল বিরোধী রাজনীতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে। এরপর থেকে বিরোধীদের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক অনেকটাই মলিন হয়। এরপর আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন। মোদি বিরোধী জোটে যোগদান না করে রাজ্যগুলিতে নিজেদের স্থানীয় ক্ষমতার বৃদ্ধি এখন লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের।