বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই ভোটকে পাখির চোখ করে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। জোর কদমে চলছে পায়ের তলার মাটি শক্ত করার প্রস্তুতি। বুধবার বারাসতের রবীন্দ্রভবনে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে পৌঁছন বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নোবেল (Nobel) পাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। দলনেত্রীর প্রশংসায় সর্বদাই পঞ্চমুখ রাজ্যের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে দলীয় কর্মীরা। তবে একেবারে সটান নোবেল পাওয়ার বিষয়ে কেন মন্তব্য করলেন চিরঞ্জিত? আসলে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্কপ্রসূত কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো কিছু প্রকল্পের কথা বলতে গিয়েই নোবেলের কথা বলেন চিরঞ্জিত।
বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘‘মহিলাদের উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুমুখী প্রকল্পগুলি নিয়ে যে ভাবে বিশ্বজুড়ে চর্চা হচ্ছে, আগামী দিনে তিনি নোবেল পেতে পারেন।’’ তবে এই নিয়েও শুরু সমালোচনা। বিধায়কের মন্তব্যের পরই জোর কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
এই নিয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘‘দুর্নীতির জন্য চোরেরা কিছু পুরস্কার দিলেও দিতে পারে। নোবেল কমিটি দেবে বলে মনে হয় না!’’ পিছিয়ে নেই সিপিএমও। চিরঞ্জিতের মন্তব্যের পাল্টা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমেদ আলি খান বলেন, ‘‘দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। দু’দিন পরে দলটাই থাকবে কি না সন্দেহ। তখন কাকে নোবেল দেবে!’’