বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রেশন ব্যবস্থায় আর কোন নেতা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)। রেশন ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে এমনটাই জানালেন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সে বললেন, দলের কোন নেতার কাছে রাখা যাবে না সাধারণ মানুষের রেশন কার্ড।
রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ
রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে একাধিকবার ঠাণ্ডা লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলেন রাজ্য সরকার। এমনকি বিরোধীরাও বারংবার এই রেশন দুর্নীতির অভিযোগ করেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। রেশন বন্টন নিয়ে বহু জায়গায় গণ্ডগোলও চরমে উঠেছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযু্ক্ত রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এমনকি বদল করা হয়েছে খাদ্য দফতরের সচিবকেও।
কার্ড থাকবে উপভোক্তার কাছেই, কোন নেতার কাছে নয়
দলের জেলা সভাপতিদের নিয়ে শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে কোন নেতা আর সাধারণ মানুষের রেশন কার্ড নিজের কাছে রাখতে পারেবন না। উপভোক্তাদের কাছেই থাকবে, যার যার নিজের কার্ড। সরকারের পয়সা নিয়ে দলের নেতারা আর কর্তৃত্ব ফলাতে পারবে না।
রেশন দুর্নীতির অভিযোগে প্রশাসন কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না
যদি কোন নেতা খাদ্য সামগ্রী বিলি করতে চান, তাহলে তাঁকে সম্পূর্ণ নিজের পয়সায় এই ত্রাণ দিতে হবে। সরকারের দেওয়া ত্রাণে একদম কেউ হাত দিতে পারবে না। জেলা সভাপতিদের সতর্ক করে তিনি জানিয়ে দেন, এরপরও যদি কারো বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ আসে, তাহলে সে যত বড়ই নেতা হোন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যারও তালিকা তৈরি করতে হবে
রেশন দুর্নীতির বিষয়ে হুলিয়া জারী করার পাশাপাশি তিনি প্রতিটি জেলায় আগমনরত পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যারও তালিকা তইর করার কথা বলেছেন।
বিজেপি ঝামেলা করলে সেখানে বৈঠক করা হবে
বিরোধী পক্ষকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সব জায়গায় বিজেপির দল রাজ্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাবে, সেই সব জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মেনে পাল্টা বৈঠক করা হবে’। এর পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে রাজ্যবাসির কাছাকাছি থাকার জন্য স্যোশাল মিডিয়ায় যোগাযোগ বাড়াতে হবে।