বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তোপ গিয়ে পড়ল বিরোধী দলনেতার ওপর। বাংলার মাটিতে মমতা-শুভেন্দু দ্বন্দ্ব আকসার বর্তমান। সেই ধারা বজায় রেখেই এবার মালদহের প্রশাসনিক সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতি করে সেই টাকা নিজের পকেটে ভরেছিলেন শিশির পুত্র। এদিন প্রকাশ্য সভায় ঠিক এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে তিনটি জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মালদহের (Malda) গাজোলে। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যু তুলে কেন্দ্র ও বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দলকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেও কটাক্ষের সুর চড়ালেন তিঁনি। শুধু তাই নয়, এদিনের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কি বললেন তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা? এদিন শুভেন্দুকে গদ্দার বলে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়েকটা ডাকাত-গদ্দার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। ভাল হয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।” এরপর আদালতকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, “আদালতে প্রনাম করে বলব, আপনারা খুঁজে দেখুন পুরুলিয়ায় কী হয়েছিল। পুরুলিয়ার কোটা নিজের পকেটে ভরেছিল। কীসের বিনিময়ে সেটা আর বলছি না। আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম, কেন ওদের বঞ্চিত করা হবে। আমি নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।”
এখানেই থেমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিঁনি আরও বলেন, “একজন খালি বলছেন রাস্তার টাকা দেব না। ১০০ দিনের কাজের টাকা দেব না। উনি দেওয়ার কে? এই সব টাকা তো জনগনের টাকা।” পাশাপাশি এদিন শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্য, “শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আমি কিছু বলিনি। কারণ আদালতে মামলা চলছে। আশাকরি ভাল বিচার হবে।” মনে করা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়েই এহেন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।