বাংলাহান্ট ডেস্ক : ১৮৪০ জন ব্লক সভাপতি সহ ব্লক পর্যায়ের ১৭ হাজার প্রতিনিধিকে নিয়ে আজ নেতাজি ইনডোরে (Netaji Indore Stadium) সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এই সমাবেশ থেকে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? (Mamata Banerjee)
আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ কোটি টাকা করে দিয়ে ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতে চেয়েছিল। আমরা বাঁচিয়ে দিলাম। এখন তো নিতিশজি আমাদের সঙ্গে, ওদিকে অখিলেশ আছে, হেমন্তও আছে। ২০২৪ সালে সব এক হয়ে যাব।’
কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে এদিন মমতা বলেন, ‘অনেক কাউন্সিলরের নামে অভিযোগ পাচ্ছি। দল আপনাকে টিকিট দিয়েছে দল এবং মানুষের জন্য কাজ করার জন্য, নিজের জন্য কাজ করতে না। যদি বেশি অভিযোগ আসে, একদিন সকালে উঠে দেখবেন নামটাই কেটে গিয়েছে।
মমতা এদিন তোপ দাগেন কেন্দ্রকেও। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে কেন ডাকা হল না বাংলাকে? শেখ হাসিনা আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। এই প্রথমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাকে বাদ দেওয়া হল। চিন, শিকাগোতেও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন নজির বিহীন আক্রমণ করলেন মিডিয়াকেও। তিনি বলেন, ‘আজকালকার মিডিয়া শুধু তৃণমূলের গন্ধ পেতে ব্যস্ত। ভালোটা চোখে দেখতে পায় না। সারাক্ষণ কুটুস কুটুস। এর সাথে ওর লাগাচ্ছে, এর সাথে আমার লাগাচ্ছে। শতাব্দীর সঙ্গে কেষ্টকে লাগাচ্ছে, আমার সঙ্গে অভিষেকের লাগাচ্ছে। এরাই বোঝে না যে এটা হওয়ার নয় রে। এতে টিআরপি বাড়বে না।’
পিছিয়ে নেই অভিষেক বন্দ্যোধ্যায়ও। এদিন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘এই দলে কোনও লবি নেই, একটাই লবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী দিনে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। বিজেপিকে ল্যাজেগোবরে করতে হবে। দলে এক নম্বর, দুই নম্বর বলে কেউ নেই। আমরা আগামী দিনে ভোটে জিতে মমতাকে উপহার দেব।’
অভিষেক ধর্মের প্রশ্নেও বিঁধলেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, ‘তোমরা ৩০০০ কোটি টাকা দিয়ে মূর্তি করতে পার, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোর জন্য ২৫০ কোটি টাকা দিতে পারে না? তারা হিন্দু ধর্মের ধারক-বাহক, এখন কেন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে? তৃণমূলের উপর যতই আঘাত করা হবে, আমরা ততই শক্তিশালী হব। বাংলায় গোহারা হেরেই চার মন্ত্রীকে জেলে পাঠিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে অ্যাটাচ করা হয় যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দুর্বল হয়ে যায়। এই আবহে পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে তাদের যোগ্য জবাব দিতে হবে। যত কুৎসা করবে, তত গর্তে ঢুকবে।’
এদিন বিস্ফোরক ছিলেন সৌগত রায়ও। তিনি বলেন, ‘মলয় ঘটকের বাড়িতে কিছু পায়নি সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে খালি হাতে চলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওদের নীতি ‘হিট অ্যান্ড মিস’। হয়ত ১০ জায়গাতে হানা দিলে একটা জায়গায় কিছু পাওয়া যাবে।’
এদিনের সমাবেশে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিরোধী দলগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই কাজে বিজেপির সঙ্গী হল সিপিএম। কোনও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মাটিতে বিজেপি হাজার হাজার টাকা খরচ করেছে। তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পারেনি তারা।’