বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্না নিয়ে ধুন্ধুমার গোটা রাজ্য। গতকাল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নার দ্বিতীয় দিনে কৃষি ভবনে থেকে চ্যাংদোলা করে, টেনে-হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় অভিষেক সহ তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর মাটি। মুখার্জি নগর থানায় বহুক্ষণ আটকে রাখার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ২ তারিখ রাজঘাট (Rajghat) থেকেও তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ ধর্না (Trinamool Dharna) বের করে দেয় পুলিশ (Delhi Police)।
২ দিন ব্যাপী তৃণমূলের এই দিল্লি ধর্না কর্মসূচীর নেতৃত্ব ছিলেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশ্রামে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে যেতে পারেন নি তিনি। তবে দিল্লিতে তৃণমূলের ওপর ‘অত্যাচারের’ বিরুদ্ধে এদিন সরব হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নীরবতা ভেঙে এদিন নিজের X হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “এই দিনটি দেশের গণতন্ত্রের একটা কালো দিন। দেশের গরিব মানুষের প্রতি বিজেপির বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা তো নেইই, উল্টে দমননীতির একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বিজেপি সরকার।”
আরও পড়ুন: ED-র স্ক্যানারে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার! মা, বাবা, স্ত্রীর পর এবার ফের অভিষেককে তলব, কবে হাজিরা?
মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “একেই বাংলার দরিদ্র মানুষের কাজের টাকা আটকে রেখে হীনতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা যখন সেই প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে নেমেছে, তখন রাজঘাট ও কৃষিভবনে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে দিল্লির পুলিশ। এমনভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ ভ্যানে তুলছিল, যেন তারা সব দাগি অপরাধী!”
আরও পড়ুন: অভিষেক পত্নী রুজিরাকে ফের তলব ED-র! এবার কোন মামলায়? তোলপাড় রাজ্যে
কেন্দ্রীয় পুলিশকে কড়া আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “দিল্লি পুলিশ ঔদ্ধত্যের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিজেদের সেই অহংকার দিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি। “আমরা ভয় করব না ভয় করব না…”, “দু বেলা মরার আগে, মরব না ভাই, মরব না”। রবীন্দ্রনাথের রচনা তুলে লেখেন নেত্রী।