বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার সেরে ফেরার পথে বড়সড় বিমান দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় সেই ব্যাপারেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা অধিবেশনের আগে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিমান দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর বিমানের সামনে অন্য একটি বিমান চলে আসে সেদিন।পাইলটের দক্ষতাতেই কোনও মতে প্রাণে বাঁচেন তিনি। সেদিন বিমান দুর্ঘটনায় লাগা আঘাতের ব্যথা এখনও রয়েছে বলেই জানিয়েছেন মমতা।
গত সপ্তাহেই বারাণসী থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বউদি অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার মিনিট পনেরো আগে থেকেই হঠাৎ প্রচন্ড ঝাঁকুনি হয় বিমানটিতে। এরপর দুদিকে দুলতে দুলতে নীচে নেমে আসতে থাকে সেটি। ঝড়ের গতিতে প্রায় ১০০ মিটার নেমে যায় বিমান। ঘটনায় বেশ ভালোরকম চোট লাগে মমতার।
পুরো বিষয়টির তদন্ত চালাচ্ছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন। তাঁর বিমানের সামনে অন্য কোনও বিমান এসে গিয়েছিল কি না তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটির পিছনে খারাপ আবহাওয়া জনিত কারণ দেখিয়েছে বিমানবন্দর। কিন্তু পুরো ব্যাপারটিতে এয়ার ট্রাফিক কনট্রোলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শাসকদলের অভিযোগ, ওই রুট দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বিমান আসার কথা এটিটি জানত। তাহলে কেন সেদিকে সতর্ক নজর রাখা এবং ওই রুটটি ফাঁকা রাখা হল না?
প্রসঙ্গত, আগামীকালই মুখ্যমন্ত্রীর বিমান দুর্ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে বিমানবন্দরের কর্মচারীদের সংগঠন। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে বিক্ষভ দেখাবেন কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে কেন অবহেলা করা হবে সেই বিরুদ্ধেই সরব হয়ে ভবিষ্যতে আরও কড়া নিরাপত্তার দাবি তুলবেন তাঁরা এমনটাই খবর সূত্র মারফত। আগামীকালের এই বিক্ষোভে যোগ দেবেন ব্রাত্য বসু এবং সৌগত রায়দের মতন তৃণমূল নেতৃত্বও।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা