বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিনক্ষণ আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সেই মতো আজ বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে নবান্নে পৌঁছে যান জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল। ৫টা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি সেই বৈঠকে রয়েছেন রাজ্যের পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, এমএসভিপি, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব সহ আরও অনেকে।
অভীক-বিরূপাক্ষদের নাম উঠতেই থামিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)!
এদিন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার (Debasish Halder) নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। কথার সূত্রে উঠে আসে অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের নাম। দেবাশিস বলেন, ‘আমরা চাই না, আমাদের মধ্যে থেকে ভবিষ্যতের অভীক, ভবিষ্যতের বিরূপাক্ষ তৈরি হোক। এটা আমরা একদমই চাই না’।
একথা বলতে না বলতেই দেবাশিসকে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের কারোর নাম উল্লেখ করা উচিত নয়। তাহলে আমাকেও অনেকের নাম উল্লেখ করতে হবে। তোমরা তোমাদের কথা বলতে পারো। যে এখানে উপস্থিত নেই, তাঁকে তো তাঁর বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দিতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ থ্রেট কালচার থেকে যৌন হেনস্থা! নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক! কী কী বিষয় উঠে এল?
একথা শুনে পাল্টা দেবাশিস জিজ্ঞেস করেন, ‘ঠিক আছে ম্যাম। তবে আমাদের তাঁদের নামে অভিযোগ রয়েছে। যখন অভিযোগ জানাব, সেই সময় কি জানাতে পারব? আমি এখন বলছি না’। মমতার জবাব আসে, ‘অভিযোগ তো সবার বিরুদ্ধে সবার রয়েছে। আমার মনে হয়, আগে তোমার কথাগুলো বলো’। সেকথা শুনে দেবাশিস বলেন, ‘ঠিক আছে ম্যাম’।
এদিন বৈঠক চলাকালীন আরজি কর হাসপাতালের ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জিজ্ঞেস করেন, ‘আরজি করের অধ্যক্ষ কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন? নিজে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করলেন না? এটা থ্রেট কালচার নয়? তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় আছি বলে থ্রেট করতে পারি না’।
জবাবে আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, তদন্ত করে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর সাসপেন্ড করা হয়েছে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, তাঁদের না জানিয়ে এভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করা যেতে পারে না।