কয়েক ঘণ্টা দেরি হলেই মমতা বাঁচতেন না! কী হয়েছিল? মারাত্মক ঘটনা ফাঁস করলেন ফিরহাদ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ। বেশ কিছুদিন ধরেই এই কর্মসূচির তোরজোড় চলছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন তা দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন অনেকে। অবশেষে চলে এল সেই দিন। আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের আক্রমণ, লড়াইয়ের বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি অতীতের স্মৃতিচারণা করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্বকে।

মমতার (Mamata Banerjee) ওপর ‘অত্যাচারে’র কাহিনী শোনালেন ফিরহাদ!

এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফের একবার সিপিএমের ‘অত্যাচার’ নিয়ে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তৃণমূল নেতা বলেন, ’২৬ দিন অনশন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢলে পড়েছিলেন। আর কয়েক ঘণ্টা যদি দেরি হতো তাহলে উনি আমাদের মধ্যে থাকতেন না’।

   

এখানেই না থেমে ফিরহাদ আরও বলেন, ‘সিপিএমের গুণ্ডারা ওনার মাথায় মেরে খুলি ফাটিয়ে দিয়েছিল। আর যদি এক সেন্টিমিটার হতো তাহলে ব্রেন ছুঁয়ে যেত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর আমাদের মধ্যে থাকতেন না’। এদিনের বক্তৃতায় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রীর ভূয়সী তারিফ করেন ববি। মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা কীভাবে করতে হয় সেটা মমতা শিখিয়েছেন, বলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ মমতার ‘আসল সম্পদ’ কী? একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ‘ফাঁস’ করলেন অখিলেশ, মুখ খুলতেই শোরগোল!

তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশাপাশি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রশংসা করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘অভিষেক লড়াই করেছে। কীভাবে বাংলার দাবি নিয়ে আসা যায়। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র বাংলাকে বঞ্চনা করে যাচ্ছে। মানুষের স্বার্থে আমাদের লড়াই, দেশ সুরক্ষার লড়াই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আশ্বাস দেব, দিদি তুমি লড়াই করো, আমরা তোমার সঙ্গে আছি’।

Mamata Banerjee Firhad Hakim

এদিন মমতার (Mamata Banerjee) কণ্ঠেও অতীতের লড়াইয়ের কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘আমার কপালের সামনে বন্দুক ধরেছি। তবে মনে রাখবেন, আমায় প্রাণে মারতে পারেনি। আমায় কেউ কেউ সেদিন বাঁচিয়েছিল। হাজরার মোড়ে আমায় মাথায় ডান্ডা মেরেছিল। আমার ব্রেন অপারেশন হয়। মাথায় ৪৬টা সেলাই পড়েছিল। দু’টো হাত ভেঙে দেয়। কোমরে আঘাত ছিল। ভোটের সময় নন্দীগ্রামেও চোট পেয়েছি’। তবে চোট পেলেও থামতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। ‘যতদিন বাঁচব ততদিন লড়ব’, স্পষ্ট বার্তা তাঁর।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর