বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী শক্তিকে দুরমুশ করে একাই ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। পাঁচ জেলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই বিরাট জয়ে স্বভাবতই খুশির হাওয়া ঘাসফুল শিবিরে। কিন্তু সাফল্যে গা ভাসালে চলবে না। তাই এই উপনির্বাচনকে প্রি-টেস্ট হিসাবে ধরেই ২০২৬-এর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রোড ম্যাপ তৈরি করতে ব্যস্ত রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
জল জীবন মিশন নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
তাই এই মুহূর্তে নানান খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েই তদারকিতে ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি তেমনি জল জীবন মিশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) নজরে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আগেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন জলজীবন মিশনের আওতায় নল পাতা হলেও সর্বত্র জল পৌঁছায়নি। এবার এবিষয়ে নবান্ন থেকেই কড়া নির্দেশ জারি করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
তিনি জানিয়েছেন এবার থেকে মাটি পরীক্ষা না করে যাঁরা সবিস্তার প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত এবং প্রয়োজনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর এই দায়িত্ব তিনি তুলে দিয়েছেন এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। এদিন সব জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ বহু জায়গায় জলের উৎস সন্ধান না করেই পাইপ পাতা হয়েছে।
যার ফলে গ্রামাঞ্চলের এমন অনেক বাড়ি রয়েছে যেখানে পাইপ পাতার পরেও জল পৌঁছায়নি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও অভিযোগ করেছেন, জলের নল কেটে অন্য কাজেও অনেকে ব্যবহার করছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে গ্রামীণ প্রায় ১.৭৫ কোটি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছনোর কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৯৩.৫০ লক্ষ পরিবারে।
আরও পড়ুন: জেলের বাইরে অর্পিতা! নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিন পেতে মরিয়া পার্থ, কি জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
তাই বাধ্য হয়ে এই প্রকল্পের সময়সীমা আরও বাড়াতে হচ্ছে। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল ২০২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্প শেষ করতে হবে কিন্তু এখনও এতগুলো বাড়িতে জল না পৌঁছানোয় নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।
এছাড়া এদিন তদন্ত করার কড়া নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেকে নল বসাতেও বিরোধিতা করছে। স্বার্থ থাকতে পারে। রাজ্য পুলিশের ডিজি বিষয়টি দেখবেন। কাউকে ছাড়া হবে না। মুখ্যসচিব, ডিজি ছাড়াও অর্থ, ভূমি, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্যকারিগরি দফতর প্রকল্পের কাজ একসঙ্গে করবে। কোনও পঞ্চায়েতেরও নল বসানোর কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই। জলের গুণমানের পরীক্ষাও করাতে হবে নিয়মিত।’