বাংলাহান্ট ডেস্ক : কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একশো দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা না দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ৷ তারপরই রাজ্য সরকারের তরফে একশো দিনের কর্মীদের নিয়ে নতুন ভাবনা শুরু হয় ৷ এবার থেকে বিভিন্ন সরকারির দপ্তরের কাজ করতে পারবেন একশো দিনের কর্মীরা৷ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর।
তাঁরা কাজ করতে পারবেন বিভিন্ন দফতরের অধীনস্থ যে প্রকল্পগুলি রয়েছে সেই প্রকল্পগুলিতে। এই দপ্তরগুলি যে হারে দৈনিক পারিশ্রমিক দেয়, একশো দিনের কর্মীরা সেই অনুযায়ীই পারিশ্রমিক পাবেন ৷ এই প্রকল্পের নোডাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন প্রতিটি জেলার অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। সরকারের কোন বিভাগে কোন জেলা থেকে বা কোন ব্লক বা গ্রাম পঞ্চায়েতের একশো দিনের কর্মীরা কী কাজে যুক্ত হবেন, তার জন্য ফরম্যাট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ইতিমধ্যেই এই মর্মে জেলাগুলিকে নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর৷
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র বকেয়া অর্থ না মেটানোর জন্য একশো দিনের কর্মীদের প্রায় চার মাস ধরে টাকা দেওয়া যাচ্ছে না৷ সেই কারণেই এবার বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ওই কর্মীদের কাজে লাগানো ভাবনা রাজ্য সরকারের৷ যাতে ওই প্রকল্পগুলির বরাদ্দ অর্থ থেকেই একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টাকা দেওয়া যায়৷
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়েই গ্রামাঞ্চলের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একশো দিনের কর্মীদের সরকারি প্রকল্পে আরও বেশি করে ব্যবহার করলে যেমন বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে গতি আসবে, সেরকমই একশো দিনের কর্মীদের ক্ষোভও প্রশমন করা যাবে৷ কারণ গ্রামাঞ্চলের বহু মানুষই এই একশো দিনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত৷