বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাজ্যের সকল পুরসভার কাউন্সিলর, পুলিশ কর্তা এবং জেলাশাসকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে রাজ্যের পুর-পরিষেবার বেহাল দশা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। ‘সব নিজেদের সম্পত্তি পেয়ে গিয়েছে, আমি কিন্তু ভেঙে দেব!’ ‘খারাপ’ পুরসভাকে (Municipality) কার্যত এভাবেই একহাত নেন মমতা। সেই সঙ্গেই তারিফ করেন ‘সেরা’ পুরসভাগুলির।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কথা কিছু তেতো হলেও এটা মনে রাখবেন যে পুরসভাগুলিই কিন্তু জনগণকে পরিষেবা দেয়। যখন কোথায় জবরদখল হচ্ছে তখন সঙ্গে সঙ্গে কেন অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে না? কেউ টাকা নিয়ে, কেউ আবার টাকা খেয়ে এই কাজ করছে। সাধারণ মানুষ যদি উন্নয়ন না পায়, তাহলে পুরসভা বা পঞ্চায়েত রাখার লাভটা কী?’
পুরসভার কাউন্সিলর, পুলিশ কর্তা এবং জেলাশাসকদের নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে ‘সেরা’ এবং ‘জঘন্য’ পুরসভার নামও নেন মুখ্যমন্ত্রী। আবাসন, পানীয় জল এবং পরিচ্ছন্নতা, এই তিনটি দিকের কথা মাথায় রেখে পুরসভাগুলিকে দু’টি তালিকায় ভাগ করেন মমতা।
আরও পড়ুনঃ কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনার পর ফের শিরোনামে রেল! দুন এক্সপ্রেসে বাঙালি যাত্রীদের ওপর হামলা, তোলপাড়!
আবাসনের নিরিখে সেরা পুরসভার তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী নাম নেন, উলুবেড়িয়া, কৃষ্ণনগর, জঙ্গিপুর, হাবড়া, মধ্যমগ্রামের। এদিকে খারাপ পুরসভা হিসেবে বিধাননগর, রায়গঞ্জ, আসানসোল এবং কাঁথির কথা বলেন তিনি। এই বিষয়েই মমতার হুঁশিয়ারি, ‘আমি কিন্তু ভেঙে দেব’।
অন্যদিকে পানীয় জলের ক্ষেত্রেও ‘সেরা’ হিসেবে উলুবেড়িয়া পুরসভার নাম নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই কলকাতা, বৈদ্যবাটি, হালিশহর এবং বাঁকুড়াকেও এই সূচকে ‘সেরা’ বলেন তিনি। আবাসন এবং পানীয় জল দুই সূচকেই ‘সেরা’ হওয়া উলুবেড়িয়ার প্রশংসা করে মমতা বলেন, এই পুরসভা মডেল পুরসভা হওয়া উচিত। উলুবেড়িয়া পারলে বাকিরা কেন পারবে না, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। অন্যদিকে পানীয় জলের নিরিখে ‘জঘন্য’ পুরসভা হিসেবে বালি, বরানগর, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি এবং শান্তিপুরের নাম নেন তিনি।
পরিছন্নতার নিরিখেও বেশ কয়েকটি পুরসভাকে ‘সেরা’র তকমা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পুরসভাগুলিহল কলকাতা, উত্তরপাড়া, উত্তর দমদম, বসিরহাট, বৈদ্যবাটি এবং নবদ্বীপ। অন্যদিকে ‘জঘন্যে’র তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পানিহাটি, হাওড়া, কাঁথি, সিউড়ি এবং ডালখোলার নাম।