বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় প্রবাহে ধীরে ধীরে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর রাজ্যে করোনার এহেন বাড়বড়ন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি দায়ী করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi)। সেই একইসুর এদিন লক্ষ করা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বালুরঘাট জনসভা থেকেও। এদিন তিনি করোনা ও টিকাকরণ ইস্যুতে মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার নয়, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারই করোনা মোকাবিলা করবে’।
তারপরই মালদহে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখান থেকে রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেও ঘোষণা করেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘রাজ্যের মানুষের জন্য টিকা কিনতে ১০০ কোটি টাকার পৃথক তহবিল তৈরি করার কথা’। পাশাপাশি, রাজ্যে ভোটের কথা মাথায় রেখে ১৮ বছরের ঊর্ধে গনটিকাকরণ ১ মে থেকে শুরু সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি। তবে ২মে ভোটের ফলাফলের পর ৫মে থেকে টিকাকরণ (Vaccination) শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এও বলেন, ‘রাজ্যে মোট ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। আরও এক কোটি ভ্যাকসিন কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হয়েছে।’ তখন তিনি বলেন, ‘২ কোটি ভ্যাকসিন বন্টন করতে করতে আমরা আরও ভ্যাকসিন কিনব। তাই ভ্যাকসিনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি পৃথক ১০০ কোটির তহবিল গঠন করা হবে’। পাশাপাশি, এদিন কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনের মূল্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকা নিয়েও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করবেন না’।
এসবের পাশাপাশি, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আশঙ্কাজনক রোগীকে ভর্তি নিতেই হবে। নিজের হাসপাতালে শয্যা না থাকলে অন্য হাসপাতালে যোগাযোগ করে দিতে হবে। ৮০টি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ৭০টি করোনা হাসপাতালে বেড বাড়ানো হচ্ছে। ২০০টি সেফ হাউস, সেগুলোর সাথে হাসপাতালের যোগাযোগ সাধন সহ পিজি হাসপাতালে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি। এভাবেই ফের করোনা দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমে পড়লেন রাজ্য সরকার (TMC)।