বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে সোমবার চার দিনের পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে পৌঁছেই এলাকাবাসীর হাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি সেই সভা থেকে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের পাশাপাশি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে (Nandigram) মনোনয়ন জমা দিতে এসে পায়ে আঘাত পান মমতা। এদিন সেই প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। একই সাথে বিরোধী দলনেতাকে তোপ দেগে বলেন, “আমার বলতে লজ্জা লাগে। নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের নামে গুলি চালানো হয়েছিল, কাউকে বেরতে দেওয়া হত না। যারা আজ বড় বড় কথা বলছেন তারা সেদিন ময়দানে ছিলেন না। বাড়িতে বসেছিল, লুকিয়ে ছিল। আমি প্রথম এখানে ছুটে এসেছিলাম।”
মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “যারা মারধরের হুমকি দিচ্ছে, মানুষ তাদের জবাব দেবেন। নন্দীগ্রাম নির্বাচন করতে এসে আমরা পা ভেঙে-মুচড়ে দিয়েছিল। আমার পায়ে দাগ এখনও রয়েছে। এখনও পা ফুলে রয়েছে, সম্পূর্ণ সেরে ওঠেনি। তখন সেই পা নিয়েই হুইল চেয়ারে করে আমি নির্বাচনে প্রচার করেছিলাম। আমি ছেড়ে যাওয়ার লোক নই, ছেড়ে যাবও না।”
এরপর জোর গলায় মমতা বলেন, “আমরা উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, যতদিন বাঁচব আমার আন্দোলনকে কেউ রুখতে পারবে না। যারা আমাদের থেকে সব কিছু খেয়ে গিয়ে আজ বড় বড় কথা বলছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি একটি কথা বলব না। ভগবান-আল্লাহ তাদের দেখবেন। তমলুক, নন্দীগ্রামের অনেককে জেলে পাঠানো হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ramnavami) ধর্মীয় মিছিলে হামলার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। হাওড়ার পরই রবিবার রিষড়ায় (Rishra) অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন এই ঘটনা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “রামনবমীর পাঁচদিন মিছিল হবে কেন? রামনবমীর দিন মিছিল করতে পারেন, তবে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার কোনও অধিকার নেই।”