পাহাড়ের মেয়েই হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বধূ, কার জন্য চলছে পাত্রীর খোঁজ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের বউ হতে চলেছেন পাহাড়ী কোনও এক কন্যা? গুজব নয়, সত্যি। দার্জিলিং সফরে গিয়ে এমনটা নিজেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সরেজমিনে ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন এলাকা। পাহাড়ে একাধিক সরকারি প্রকল্পের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর বক্তব্যে উঠে গেল নিজের পারিবারিক কথাও।

মঙ্গলবার দার্জিলিং ম্যালে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই পাহাড়ের মানুষের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। তার ফাঁকেই উঠে আসে বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির ভাবি বধূর প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের মেয়েরা খুব স্মার্ট হয়। খুব ভালো হয় ওরা। ওদের হাসি কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসির মতই। পাহাড়ের মানুষকে এতটাই পছন্দ করি যে এখানকার মেয়েকেই বাড়ির বউ করে নিয়ে যাচ্ছি।’

তাঁর এহেন মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। কার জন্য পাত্রী খোঁজার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো আভাস বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ডাক্তারি পড়ছেন তাঁরই সহপাঠী এক হিমালয় কন্যা। তাঁদের মধ্যে একটি সম্পর্কের কানাঘুষোও রয়েছে। আভাসের সেই সহপাঠী জ্যোতি কার্শিয়াং এর মেয়ে। তাঁর সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করলেও এদিন যে তিনি জ্যোতির কথাই বোঝাতে চাইলেন এমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।

উল্লেখ্য, পাহাড়ে গিয়ে এক গুচ্ছ নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে চা বাগানের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প তৈরি করেছি। ওইসব চা বাগানে যাদের ঘর নেই তাদের মধ্য়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেব। সেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। যখন ক্ষমতায় ছিলাম না তখন চা শ্রমিকরা পেতেন দৈনিক ৬৭ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০২ টাকা। আগে চা বাগান বন্ধ হলে ৬ মাসের পর সাহায্য পেতেন শ্রমিকরা। এখন ২ মাসের মধ্য়ে দেড় হাজার টাকা পান শ্রমিকরা। বিনা পয়সার বিদ্যুত্, জল পান তাঁরা, হেলথ কার্ড পান তাঁরা। মাসে ৩৫ কেজি রেশন দেওয়া হয়।’

তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘স্বাস্থ্য সাথী কার্ড যদি কেউ না পেয়ে থাকেন তাহলে দুয়ারে সরকারে আবেদন করুন। আড়াই কোটি মানুষ এখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধে পাচ্ছেন। এখন চিকিত্সার জন্য টাকা লাগে না, পড়ার জন্য খরচ হয় না, ১২ ক্লাসে মোবাইল পাওয়া যায়, ক্লাস নাইনে সাইকেল পাওয়া যায়। দার্জিলিংয়ে গত ২০ বছরে কোনও জমির পাট্টা দেওয়া হয়নি। আইনি সমস্যা ছিল। আমরা তা মিটিয়ে দিয়েছি। যারা ওই পাট্টা পাওয়ার যোগ্য তারা তা পেয়ে যাবেন।’ উল্লেখ্য, কার্শিয়াং এ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি শাখা তৈরির কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। অন্যদিকে দার্জিলিং এ ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য তৈরি হবে হিল ইউনিভার্সিটি।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর