বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাহাড়ের রাজ্য মেঘালয়ে (Meghalaya) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। সে রাজ্যে জোড়াফুল ফোটাতে মরিয়া বাংলার শাসকদল ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঘন ঘন মেঘালয় সফরে যাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সঙ্গী যুবরাজ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বুধবার সেখান থেকেই কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন দলনেত্রী।
এদিন প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “আমি কংগ্রেসে ছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের দল থেকে তাড়িয়েছে। কারণ আমরা বিজেপিকে আটকানোর জন্য লড়াই করছি। তবে আজও আমরা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আজও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছি। রোজ বিজেপি ইডি-সিবিআই দিয়ে আমাদের কড়া নাড়ছে। বিজেপি মনে করে সবাই ওদের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত। তবু তৃণমূল লড়ছে।”
ভোটপূর্বে এদিন গারো হিলসের রাজবালা এলাকায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভায় ভীড় ছিল চোখে দেখার মতো। সদ্য আরেক উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরায় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গ তুলেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র ত্রিপুরা এবং মেঘালয় নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের সমস্ত রাজ্যে আগামী দিনে লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, আগামী সোমবার মেঘালয়ে ভোটগ্রহণ। তার আগে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সীকে কাজে লাগিয়ে বা টাকা ঢেলে বিজেপি ভোট কিনতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মমতা।
পাশাপাশি শুধুমাত্র বিধানসভা নয়, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের সকল মানুষকে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোটে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তৃণমূল সর্বাধিনায়িকা। বলেন, “মেঘালয়ে তৃণমূলকে জিতিয়ে দিন। আগামী দিনে তৃণমূল দিল্লি থেকে বিজেপিকে হটাবে। এই শব্দদের সূচনা আপনারা মেঘালয় থেকে করুন। যখন মানুষের রোগ হয়। তখন তাদের আসল ওষুধের প্রয়োজন হয়। আর এই আসল ওষুধ হল গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার। তৃণমূলকে ভোট দিন। আর আমরা বিজেপিকে রাজনৈতিক লাওয়াই দেব গোটা দেশ থেকে বুয়ে মুছে দাও।”
এদিন বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করার সাথেই মমতা আরও বলেন, ” বাংলায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে থাকি। আসতে আসতে উত্তর-পূর্ব সেবাতেই আমরা যাব। আমরা নম ইস্টার্ন ফ্রেন্ডশিপ গড়তে চাই। কলকাতা, শিলিগুড়ি আপনাদের গেটওয়ে। মনে রাখবেন বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল সীমান্ত সমস্ত দিক দিয়ে বাংলা আপনাদের গেটওয়ে। যখন কোনও অসুবিধায় পড়বেন, মনে রাখবেন আপনাদের পাশেই কোচবিহার রয়েছে। যদি আপনাদের বিশ্বাস ভরসা থাকে তাহলে মনে রাখবেন সব দল একবার, আর তৃণমূল বারবার।”