বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার বিএসএফক্যা কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন থেকে তিনি বিএসএফের বিরুদ্ধে গ্রামে ঢুকে এলাকাবাসীদের গুলি করে খুনের অভিযোগ তোলেন।
বুধবার নবান্নে বাংলার বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্তা এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক চলাকালীন কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গে বার্তালাপের সময় তিনি বিএসএফ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, গতবছর কোচবিহারের সিতাই অঞ্চলে একাধিক মানুষের মৃত্যু নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজনীতি। পরবর্তীকালে বিএসএফের প্রবেশাধিকার সীমান্তের ভিতর 50 কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এরপর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাশ করা হয়। আর গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যে বিতর্ক যে আরো বৃদ্ধি পাবে, তা বলা বাহুল্য।
বৈঠক চলাকালীন কোচবিহার পুলিশদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমাদের অনুমতি ছাড়া সীমান্তের 50 কিলোমিটার পর্যন্ত যেন কোন বিএসএফ ঢুকতে না পারে, সেই জিনিসটি তোমরা নজর রাখবে। ওরা সীমান্তের ভেতরে ঢুকে গ্রামবাসীদের গুলি করে খুন করছে এবং ওপারে গিয়ে ফেলে আসছে। এই সংক্রান্ত অনেক খবর আমার কাছে আছে।” এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “তোমরা বরং বিএসএফকে বলবে যে তারা কোনো অপারেশন করার আগে রাজ্য পুলিশকে যেন ইনফর্ম করে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “অতীতে একটি কেসের খবর আমি পেয়েছি, যেখানে কোচবিহারেরর এক ব্যক্তিকে মেরে ওপারে ফেলে দেওয়া হয়। সে বাংলাদেশের ছিলই না। এর পূর্বে আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, তখন ওরা একবার চার জন ব্যক্তিকে মেরে জলপাইগুড়িতে ফেলে দিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময় আমি ওদেরকে ধরে নিয়েছিলাম। কারণ আমি জানি, কোনো মৃতদেহ কিভাবে ফেললে তার পরবর্তী অবস্থা কি হয়। তোমাদের এদিকে নজর রাখতে হবে।” স্বভাবতই, মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের এই বক্তব্য রাজ্য-বিএসএফ সম্পর্কে আঘাত হানতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।