বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবার মধ্যমগ্রামের পর, বৃহস্পতিবার হাওড়ায় (howrah) প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। আর সেই বৈঠকেই কড়া ভাষায় ধমক দিলেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে (gautam chowdhuri)। ‘দিদি’র ভয়ে চুপচাপ মুখে কুলুপ এঁটে দাঁড়িয়ে রইলেন বাবুডাঙা থেকে পিলখানা পর্যন্ত বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাওয়ানো দাপুটে নেতা।
বিষয়টা হল, বর্ষাকালে অন্যান্য জায়গার জল নেমে গেলেও, টানা বৃষ্টির জেরে প্রায় ৫০ দিন ধরে জলমগ্ন হয়েছিল হাওড়ার সাত নম্বর ওয়ার্ড। কোথাও জমে ছিল হাঁটু জল, তো আবার কোথাও গোড়ালি ডোবা জল। যার ফলে শিশুদের নানারকম শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে নানারকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে কাটছিল এলাকাবাসীর।
এই জলযন্ত্রণায় নাজেহাল স্থানীয়দের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। জল নামানোর ব্যবস্থা না করে, নিজেই সেখানে একটি চেয়ার নিয়ে বসে পড়েছিলেন গৌতম চৌধুরী। আর পণ করেছিলেন, যতক্ষণ না জল নামবে, ততক্ষণ ওভাবেই বসে থাকবেন। তারপর অবশ্য তাঁর এই পদক্ষেপে পুরসভার টনক নড়ে এবং দুঘন্টার মধ্যেই কেএমডিএ-র দুটি পাম্প দিয়ে ওই এলাকার সমস্ত জল সরিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমান সময়ে জল সরে গেলেও, সেই ঘটনার কথা কিন্তু ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বৈঠকে সকল বিধায়কের ন্যায় নিজের এলাকার পরিস্থিতির বর্ণনা করতে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গৌতম চৌধুরী বলেন, ‘উত্তর হাওড়ার নাগরিকদের পক্ষ থেকে দিদি, আপনাকে প্রণাম জানাই!’
বিধায়কের মুখ থেকে এই কথা শুনেই আগের ঘটনা বোধ করি মনে এসে যায় মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘তুমি গৌতম চৌধুরী তো? বসে পড়েছিলে কেন রাস্তায়?’ উত্তরে বিধায়ক ‘ওখানে জল জমেছিল দিদি’ বলতেই ক্ষেপে যান মুখ্যমন্ত্রী। সকলের সামনেই ধমকের সুরে বলে ওঠেন, ‘জল জমেছিল তো কি করার ছিল? প্রকৃতি কি কখনই আমাদের হাতে থাকে? ৮০ বছরে এরকম বৃষ্টি আগে হয়নি, একথা তুমি জানো? উলটে তুমি জল না নামিয়ে খালি গায়ে রাস্তার মধ্যে বসে পড়লে! এটা কি তৃণমূলের কালচার!’