জমি দিলেই মিলবে পুলিশে চাকরি, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কাগজ হাতে উপচে পড়ল ভিড়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : জমি দিলেই মিলবে সরকারি চাকরি। কদিন আগে এমনটিই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দেউচা পাচাতিতে রীতিমতো জমির কাগজপত্র হাতেই লাইন লাগালেন জমি মালিকরা। জমি দিয়ে চাকরি চান প্রত্যেকেই।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার দেউচা পাচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিণসিঙা কয়লা খনি এলাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রীসভায়। স্থানীয় মানুষদের থেকে আমরা জমি চাইছি। জমি পাওয়া গেলে জমি দাতা পরিবার পিছু একজনকে সিনিয়র কনস্টেবল অথবা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়া হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতেই হবে এই পদ নির্বাচন। ৫১০০ টি পোস্ট অনুমোদন করা হয়েছে।’

আর মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই কার্যতই খুশির হাওয়া দেউচা পাচামিতে। জমির বদলে চাকরি নিতে রীতিমতো লাইন পড়েছে কোল ব্লক প্রজেক্ট অফিসে। যদিও প্রাথমিক ভাবে সরকারি জমিতেই কাজ শুরু হবে বলেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ৩৮০০ একর প্রস্তাবিত জমির মধ্যে মাত্র ১হাজার একর সরকারি জমি। তাই স্থানীয়দের থেকে জমি অধিগ্রহণ করতেই হত সরকারকে। এই অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ, পাট্টা এবং আরও অন্যান্য সুবিধাসহ পূনর্বাসনের জন্য ইতিমধ্যেই ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘যাঁরা জমি দিতে চাইবেন শুধু তাঁদের জমিই নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে কাজ শুরু হবে আমাদের জমিতেই। এখনও অবধি রাজ্যের হাতে ১ হাজার একর জমি রয়েছে। তবে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের সাপোর্ট আমাদের দরকার। যাঁরা জমি দেবেন তাঁদের পাট্টাও দেওয়া হবে। জমির বদলে জমি, পাট্টা, ক্ষতিপূরণ সবকিছুই দেওয়া হবে’।

mamata 20211026 1642060441

বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, ‘ইতি মধ্যেই প্রায় ৫৮৫ জন মানুষ জমি দিতে রাজি হয়েছেন। তাঁদের থেকে ২২৫ একর জমি পেয়ে গেছে সরকার।’ অতি দ্রুতই শুরু করা হবে খনন কাজ, এমনটাও জানান তিনি।

প্রথমে আশঙ্কা থাকলেও আপাতত সরকারি চাকরির আশায় হাত বাড়াচ্ছেন দেউচা পাচামির বাসিন্দারা। নিজেদের প্রায় সর্বস্ব দিয়েই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন অনেকেই। সত্যিই সত্যি হবে তো এই দিন বদলের স্বপ্ন? আপাতত সুদিনের আশায় দিন গুনছে দেউচা পাচামি।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর