বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জেরে সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আর এবার কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই তিনি মঙ্গলবার ধরণায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দুপুর ১২টা থেকে ধরনায় বসতে চলেছেন তিনি।
কমিশনের সিদ্ধান্তের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে লিখেছেন ‘নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল দুপুর ১২টা থেকে আমি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরণায় বসছি।”
To protest against the undemocratic and unconstitutional decision of the Election Commission of India, I will sit on dharna tomorrow at Gandhi Murti, Kolkata from 12 noon.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 12, 2021
তৃণমূল এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছে, কমিশনের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক চাপে নিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই বিশয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির শাখা সংগঠন বলে কটাক্ষ করেছেন।
কমিশনের তরফ থেকে জানান হয়েছে যে, প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই কারণেই ওনার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বারবার কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও প্রমাণ ছারাই নিশানা করাই মুখ্যমন্ত্রীর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, গত ৩ এপ্রিল তারকেশ্বরের একটি জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এক হয়ে ভোট করার আবেদন জানিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কমিশনে গিয়েছিল বিজেপি। কমিশনের তরফ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই নিয়ে শোকজও করা হয়।
এছাড়াও কোচবিহারের শীতলকুচিতে নির্বাচনী প্রচারে দিয়ে সিআরপিএফ কে ঘিরে ফেলার নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজ করে কমিশন।