এনআরসি, এনপিআর, সিএএ ,সিএবি নিয়ে প্রতম থেকেই যে মমতা সরকার মেনে নিতে নারাজ ছিলেন , তার একাধিক আভাস আমরা পেয়েছি। কথায় কথায় দেশের বেহাল দশা নিয়ে বিজেপিকে শানাতে ভোলেন না মমতা। আর এবার সতীঘাটে দাঁড়িয়ে মমতা এদিন বলেন, “ওরা সাধুবাবা। মাদুলি দিয়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থার মন্ত্র ছড়াচ্ছে।
এনজিও-র নামে বিজেপি মুম্বই, অসম থেকে উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের লোক আনছে। এরা সবার বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। বলছে কী লাগবে? আমরা মালদায় এরকম গ্রেফতার করেছি। এরকম কেউ প্যান, আধার কার্ড চাইলে দেবেন না। অসুবিধা বুঝলেই প্রশাসনকে বলুন। ওরা দেখবে। বাংলায় বিজেপিকে রক্তের খেলা করতে দেব না।
জঙ্গলমহলে রক্তের রাজনীতি শুরু করেছে। তৃণমূল দুর্বল হলে, আবার মাওবাদীরা আসবে।” একদিন আগেই রাজধানীতে বিজেপির পরাজয়ের ছবি যত স্পষ্ট হয়েছে। আপের জেতার আভাস মিলেছিলো সুরু থেকেই । তাতে অনেকের মতেই ভালো খবর । আর এই সংবাদ খুশির হাওয়া বয়ে এনেছে তৃণমূল শিবিরে। এদিন সতীঘাটে মমতার জনসভা ও কর্মীসভাতে তিনি আভাস দেন বিজেপির এই হার বেশ খুশির । একদিকে যেমন জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগেন, ঠিক তেমনই আবার কর্মীসভায় দলের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দেন। এর আগে রাজ্যে একাদিকবার বিজেপির করা অশান্তি কে তিনি গুন্ডাগিরি বলে আখ্যান দেন।
তিনি বলেন বিজেপি রাজ্যের পরিবেশ অশান্ত করছে। আর বিজেপি পূরো দেশেই এখন দাঙ্গা লাগাচ্ছে । এদিন তিনি বিজেপিকে কটাক্ষের সুরে বলেন অনেক কথা । তারপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশের তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি সেই কর্মীকে ভালোবাসি, যে মাটির ঘরে থাকে। আমি তাঁদের ভালোবাসি না, যাঁরা নিজেদের কথা ভাবেন। তাঁরাও আমার নজরে থাকছে। যে বুথ কর্মী সাইকেল করে বুথে আসেন, ডোর টু ডোর করেন আমি তাঁকে ভালোবাসি।” পাশাপাশি বিজেপি থেকে কে ভয় না পায় সেই নিয়েও তিনি অনে কথাই বলেন।