শাহীনবাগের প্রদর্শনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা ব্যানার্জী, বললেন- যারা লড়াই করে তারাই জেতে

ফের বিজেপিকে নিশানা করে তোপ দাগ্লেন মমতা বন্দ্যোপাদ্ধ্যায় । দেশে এই মুহুর্তে এনআরসি নিয়ে যে মেরুকরনের চেস্টা চালাচ্ছে বিজেপি সেই নিয়ে বারেবারে বলে গেছেন বিরোধি দলনেতারা। দুই মেরুর দ্বন্দে রাজ্যে দেশে রোজ ঘটে চলেছে অশান্তি এবং প্রতিবাদ সভা।আর এই নিয়ে মঙ্গলবার সিএএ নিয়ে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের সাংসদের প্রতিবাদে লোকসভার কাজ চালানো দুস্কর হয়ে যায় স্পিকারের পক্ষে।

প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিরও দাবি তোলেন তাঁরা।আর এরপরেই বাধ্য হয়ে কেন্দ্র জানায় এইমুহুর্তেই হবে না এনআরসি। এইদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিত মাধ্যমে জানিয়েছেন যে এখনো অব্দি এনআরসি কে কাজে লাগাবে বলে ভাবেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আবার অন্যদিকে দিল্লির শাহিনবাগ,  কলকাতার পার্ক সার্কাস, লখনউয়ের ঘণ্টাঘর সহ দেশের একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ।

 

AA 4

 

 

একবার এনআরসি হবে আর একবার এনআরসি হবে না এই নিয়ে দেশের আমজনতার মধ্যে একটা দোটানা করা হচ্ছে বারবার। কিন্তু তার সঠিক সমাধান কিন্তু কেউ দেয়নি একবারও। শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, বিজেপি জনপ্রতিনিধিরা এখন আলোচনার কথা বাদ দিয়ে গুলি করার কথা বলছেন।  ফলে বুঝতে হবে দেশ এখন সবচেয়ে বিপদের মধ্যে রয়েছে। এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এদিন মমতা বলেন দেশে একটা বিভাজন চালানোর চেস্টা করে চলছে বিজেপি। ধর্ম, জাতপাত এসব নিয়ে রোজ অসান্তি চালাচ্ছে।

সাধারন কথায় বা সাধারনভাবে কোন কিছু মিটিয়ে নেওয়ার জন্য চেশটা করেনা সব সময় গুন্ডাগিরি চালিয়ে যায় বিজেপি। দেশের মানুষ তাদের কাছে চাকরি নেই তারা বেকার কিন্তু সেই কথা ভেবে কোন শিল্প নেই। দেশের মানুষ তাদের কথা ভেবে জিনিস পত্রের দাম কমানো হচ্চে না। কিন্তু এন আরসি এসব করে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এদিন নবান্নে শাহিনবাগ প্রসঙ্গে এভাবে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা।

সম্পর্কিত খবর