বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট পূর্বে সোমবার চার দিনের পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) সফরে বেড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বেশ কিছু প্রশাসনিক কর্মসূচী রয়েছে তার, রয়েছে দলীয় সবায়। গতকাল নন্দীগ্রাম লাগোয়া খেজুরিতে পৌঁছে এলাকাবাসীর হাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তুলে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি খেজুরির ঠাকুরনগরের প্রশাসনিক সভা থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে স্বপ্ন দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তা ও রাজ্য সরকারের সব সচিবের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘সকলকে বলব ভিলেজ ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগান। সিভিকদের কাজে লাগান।’’ তার কথায়, ‘‘সিভিক ভাই-বোনেরা জেনে রাখো, আগামী দিনে আস্তে আস্তে তোমাদের অনেক উন্নতি হবে। তোমাদের একটা ‘কোটা’ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি বছর সিভিক থেকে কনস্টেবল করা হবে।’’
রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে নিয়ম ছিল না, সিভিক কেউ মারা গেলে তাদের পরিবারের কেউ চাকরি পাবে। সেটাও করে দিয়েছি। এবং সকলের জন্যই করা হয়েছে।’’ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এদিন সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে করা মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক বড় মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চৰ্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়া জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষাদানের সিদ্ধান্ত ঘিরে শোরগোল পরে গিয়েছিল গোটা বঙ্গে। সমালোচনায় সরব হয়েছিল বিরোধীরা। শুধু টাই নয়, গোটা বিষয়টি গড়িয়েছিল হাই কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে রাজ্য তরফে একটি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যুক্ত করবে না রাজ্য সরকার। তবে গতকাল সিভিকদের নিয়ে ভবিৎষতে স্বপ্ন বুনতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীকে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সিভিক নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) মানব কুমার সিংঘল জানান, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভামঞ্চে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। তবে এটা নিয়ে লিখিত কোনও নির্দেশিকা আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।’’