বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশে করোনা ভয়াল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এরাজ্যের অবস্থাও ভালও নয়। ভোটের বাংলায় ফের জাঁকিয়ে বসছে করোনা। মারণ ভাইরাসের বাড়বড়ন্তে বিপর্যস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও। এমতাবস্থায় সংক্রমণে রাশ টানতে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এবার আরও কিছু পদক্ষেপের টুইট ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ((Mamata Banerjee)।
আজ অর্থাৎ সোমবার দুপুর দুটোয় সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই পদক্ষেপ গুলি স্পষ্ট করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব (Alapon Banerjee)। এদিকে করোনা নিয়ে উদ্বেগের কারণে ফের আজ দুপুরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দেশজুড়ে করোনার সংকটজনক পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যবাসীকে রক্ষা করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। আমি ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ভ্যাকসিন এবং ওষুধ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
I have also directed all the top officials to make elaborate arrangements & step up their efforts at every level to deal with #COVID19 situation in WB. The Chief Secretary along with key officials will be doing a Press conference at 2PM to discuss the details of the plan. (2/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 19, 2021
এর পাশাপাশি তিনি জানান, ‘সমস্ত শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যাতে সংক্রমণে (Corona Outbreak) রাশ টানতে অতিদ্রুত কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অতীতে যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যেন কঠোর ভাবে পালন করা হয়।’ সঙ্গে তিনি এও জানান, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ গুলি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিক বৈঠক করবেন’। তবে এই ‘বিস্তারিত পরিকল্পনা’ কি ? তা নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধছে বিশেষজ্ঞ মহলে।
জানিয়ে দি, এর আগে রবিবার করোনা রুখতে একগাদা নয়া নির্দেশিকা (New Guideline) জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তাতে গণপরিবহন থেকে ব্যক্তিগত যানবহন সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, এবং শারীরিক দুরুত্ব বজিয়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সর্বত্র ভিড় নিয়ন্ত্রণ, কারখানা-সংস্থা গুলিকে সপ্তাহে একবার স্যানিটাইজেশন, এমনকি বেসরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করানোর ব্যবস্থা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশকা না মানলে বা অসতর্ক হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। তারপরই এবার রাজ্যবাসী চেয়ে আছে এদিন দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে তার দিকে।