নাগরিকতা সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে হিংসার আগুনে জ্বলছে গোটা দেশ। আজ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে একের পর এক হিংসার ছবি ফুটে উঠেছে। একদিকে আজ বাম সংগঠন ও মুসলিম সংগঠন মিলে গোটা ভারত বন্ধ ডেকেছিলে। ভারত বন্ধের আংশিক প্রভাব বিহার আর ব্যাঙ্গুলুরে তে দেখা গেছে।
ভারত বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছিলেন সিপিএমএর মহা সচিব সীতারাম ইয়েচুরি, যদিও ওনাকে দিল্লীর মণ্ডি বাজার থেকে গ্রেফতার করে নেয় পুলিশ। এছাড়াও আজ উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে আজ চরম হিংসার ছবি দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা লখনউতে ৩৭ টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এরপর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেন যে, যারা হিংসায় সম্পত্তি নষ্ট করেছে, এবার তাঁদের চিহ্নিত করে তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে ক্ষতিপূরণ তুলবে সরকার।
আরেকদিকে, নাগরিকতা সংশোধন আইন (CAA) আর নাগরিকপঞ্জী (NRC) নিয়ে বরাবর কেন্দ্রের মোদী সরকারকে (Modi Sarkar) আক্রমণ করে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) আজ এই নিয়ে একটি বড় বয়ান দেন। কলকাতায় আজ নাগরিক সংশোধন আইন আর নাগরিকপঞ্জীর বিরোধিতায় গণভোটের দাবি করেন তিনি। তবে তিনি এটাও বুঝিয়ে দেন যে, এই গণভোট ভারত সরকারের তত্বাবধনে চাননা তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিরপেক্ষ গণভোট করানোর জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপের দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার মমতা ব্যানার্জী কলকাতায় নাগরিকতা আইন নিয়ে ফের একহাতে নেন মোদী সরকারকে। উনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৩ বছর পর আচমকা আমাদের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ দিতে হচ্ছে। বিজেপির গঠন হয় ১৯৮০ সালে, আর আজ বিজেপি ১৯৭০ সালের নথী চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সবার কাছে নাগরিকতা আইন নিয়ে জোরদার বিরোধিতার আবেদনও করেন। উনি বলেন, এই আইনের বিরোধিতায় সবাই নামলে সরকার এই আইন তুলতে বাধ্য হবে।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি নামে একটি দল গঠন হয়, আর আজ সেই দলই ১৯৭০ সালের কাগজপত্র চাইছে। উনি বিজেপির উপর গুরুতর অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপির কর্মীরা টুপি কিনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে বদনাম করার জন্য সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে। উনি বলেন, বিজেপি নাগরিকতা সংশোধন আইনের মাধ্যমে হিন্দু আর মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে।