‘সেলাই করে খাব!তবু মেয়েকে বিক্রি করে..’ শোকগ্রস্ত ‘অভয়া’র বাবা যা বললেন; শুনে কাঁদবেন আপনিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মেয়ের প্রাণের দাম টাকার অঙ্কে মিলবে না! জানিয়ে দিলেন তিলোত্তমার বাবা। সদ্যই কন্যাকে হারিয়েছেন তিনি। আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দিয়ে চাওয়া ঘটনার সত্যতা এই যে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে আর জি করের ( RG kar Case) শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে। একজন দুজন নয়, এই ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজন।

আর জি করের ( RG kar Case) ঘটনায় মৃতার বাবার বক্তব্য

আর এই ঘটনার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা মৃতের পরিবারকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। কিন্তু সেই টাকা না নেওয়ার অঙ্গীকার করলেন মৃতার বাবা। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন আর জি করের (RG Kar Case) চেস্ট-পেইন বিভাগের অন-কল ডিউটি চিকিৎসক ছিলেন নির্যাতিতা।

আরোও পড়ুন : কনফার্ম খবর! দীর্ঘ টালবাহানার পর জম্মু-কাশ্মীরে হচ্ছে ভোট! কবে ডেট দিল নির্বাচন কমিশন?

ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে পুরো ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই এর উপর। সিবিআই (Central Bureau of Investigation) আধিকারিকরা বৃহস্পতিবার তিলোত্তমার বাবা-মায়ের বয়ান রেকর্ড করে। পাশাপাশি, মৃত ডাক্তারি পড়ুয়ার নিজের হাতে লেখা ডায়েরি নিয়ে যান।

আরোও পড়ুন : আমেরিকার ‘হান্টার কিলার’ এবার ভারতে! পাইলট ছাড়াই উড়বে, শত্রুঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেবে

চেস্ট মেডিসিনে এমডি করতে চেয়ে সরকারি কলেজে জায়গা পাওয়ার জন্য দু’বছর পড়াশোনা করেছিলেন মেয়ে। দুটি বিকল্প ছিল তাঁর কাছে, জেএনএম কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। আরজিকর মেডিকেল কলেজে (R G kar Medical College and Hospital) ভর্তি হলে অনেক সুবিধা। মেয়ে মেট্রো শহরে থাকবে। কিন্তু তা আর হল কই?

আক্ষেপের সুরে নির্যাতিতার বাবা বলেলন, “জেএনএম বেছে নিলে তাঁর জন্য ভালো হত। এই কারণেই কি আমরা তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম?” এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) মৃতার পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান ক্ষতিপূরণ (Compensation) হিসেবে তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সেই অনুদান নেবেন না বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মৃতার বাবা।

RG Kar incident

তাঁর কথায়, “কেন আমরা টাকা নেব? আমরা ক্ষতিপূরণ প্রত্যাখ্যান করেছি এবং ভবিষ্যতেও নেব না”। তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেককে” তাঁর “পুত্র ও কন্যা” হিসাবে বিবেচনা করেন। তিলোত্তমার বাবা বলেন, “সেলাই এর কাজ করে মেয়েকে বড়ো করেছি, সেলাই করেই খাবো। মেয়েকে হারিয়ে লক্ষ সন্তানের বাবা হয়েছি, তাই মেয়েকে বিক্রি করে টাকা নেব না।” মেরুদন্ড বিক্রি করবেন না তিনি!


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর