বাংলা হান্ট ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানেই প্রত্যাশিতভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি।
জানা গিয়েছে যে, মোট বৈধ ৪৮ টি প্রপোজার সেকেন্ডারের নমিনেশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে জমা পড়েছে। অন্য কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি বাদে সাংগঠনিক নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে। যদিও বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তাঁরা আসেননি। এছাড়াও, বাংলার বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি এদিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেন।
আজকের বৈঠকে যশবন্ত সিনহা, লোকেশ ত্রিপাঠী, রাজেশ ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অশোক তানোয়ারদের মতো ভিনরাজ্যের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল। তারপর তার স্ক্রুটিনি হয়। সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে, এমনটাই জানানো হয়েছিল আগে থেকে। তবে, চেয়ারপার্সন পদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই শুধু দাঁড়ানোর কথা।
এদিকে, চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পরই মমতা বলেন, “তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক ঝড়, বাধা, সুখ-দুঃখ সব কিছু অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় তৃণমূল এসে দাঁড়িয়েছে। আপনারা দলটাকে মজবুত করে গড়ে তুলুন। বলুন, আগলে রাখব রাজ্যে দলটাকে। বিজেপিকে ভারত থেকে হঠান। ২০১৬ সালে কমিশনের স্বীকৃতি পেয়েছি। এটা এখন জাতীয় দল। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।”
পাশাপাশি, আজকেও বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তীব্র কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, “একবার যদি হারো, তুমি জিতবেই। তুমি বিজেপিকে হঠাতে পারবেই। একটা পার্টি টাকায় চলছে। তারাই আমাদের প্রধান শত্রু। আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট একসঙ্গে আসুক। কিন্তু কেউ যদি অহঙ্কার নিয়ে বসে থাকে, তবে একলা চলো। লড়াই করতে হবে। একটা করে ফুল গাঁথতে গাঁথতে মালা গেঁথে নেব।”